আগে পুরভোটের সিসিটিভি-র ফরেনসিক হোক, মমতাকে পাল্টা শুভেন্দুর
প্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ এদিন বাজেটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'অখিলেশকে জোর করে হারানো হয়েছে, ইভিএমের ফরেন্সিক টেস্ট হওয়া উচিত।' এ প্রসঙ্গে …
আগে পুরভোটের সিসিটিভি-র ফরেনসিক হোক, মমতাকে পাল্টা শুভেন্দুর
প্রদীপ কুমার মাইতি* ঃ এদিন বাজেটের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'অখিলেশকে জোর করে হারানো হয়েছে, ইভিএমের ফরেন্সিক টেস্ট হওয়া উচিত।' এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জবাব, '২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় ইভিএম মেশিন ভাল ছিল।
কিন্তু এখন উত্তরপ্রদেশে যেই হেরে গিয়েছে, তাই ওখানে ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছে। আগে পুরভোটে সিসিটিভির ফরেন্সিক হোক।' শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, 'উনি বেনারসে হাজার দশ-পনেরো লোকের সভা করেছেন। ওই অখাদ্য হিন্দিতে। হিন্দির পিণ্ডি চটকেছেন। বলেছেন অখিলেশকা গঠ-বন্ধন কো জিতাদো, মোদীজি ভি হার জায়েগা। ২১-এর ইভিএমগুলো খুব পছন্দের ছিল। এখন ইভিএমের কারসাজি।' শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, 'সারদার মূল বেনিফিশিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত ওঁর বাড়ির লোক। ভয় তো ওঁরা পাবে। বাংলার মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুঠ করেছে। এদের পোশাক-আশাক চালচলন ২০১১ সালের আগে কী ছিল, এখন কী আছে? কোন রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে এসকেলেটর লাগানো থাকে? চার্টার্ড ফ্লাইট কারা ভাড়া করে? দুটো চাডার্ড ফ্লাইট। ভাইপোর জন্য একটা পিসির জন্য একটা। ভাইপোর টাকা কোথা থেকে আসে। ৫০০ কোটি টাকার ওপরে ইলেক্টেরাল বন্ড। আমি এর তদন্ত দাবি করছি। কারা দিয়েছে। কোনও ব্যবসায়ীরা। আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে।' এরপর রাজ্যের বাজেট নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সব স্কিমের নাম পাল্টানো ছাড়া আর কোনও স্কিম নেই। এই বাজেট একঝুড়ি মিথ্যে। তাঁর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামীণ এলাকায় এক লক্ষ ২৫ হাজার বাড়ি তৈরি হয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন। এটা সবাই জানে। সেখানে ওই প্রকল্পকে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার আবাস যোজনা। ৮০ কোটি মানুষকে ৫ কেজি করে চাল বা গম রেশন দিচ্ছেন কেন্দ্র। ২৬ হাজার কোটির প্যাকেজ। নাম প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা। সেটা চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যসাথী বলে। বেমালুম নাম পাল্টে দিয়েছেন।' জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলার থেকে লক্ষ্মৌতে ডিজেলের দাম ২২টাকা কম। পেট্রোল ১৭ টাকা কম। বিরোধী রাজ্যগুলিতেও জ্বালানী তেলের দাম কমানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি এক পয়সাও সেস কমান নি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'দম থাকলে তেলের দাম কমিয়ে দেখান। আমরা সমর্থন করব। উনি মদের দাম কমিয়েছেন। কিন্তু বেকারদের চাকরির কোনও ব্যবস্থা নেই। গান্ধী মূর্তির নীচে এসএসসি প্রার্থীরা মাসের পর মাস ধরে ধর্না দিচ্ছে। আমরা তাঁদের কাছে যাব। বলব, বাংলার তথাকথিত মেয়ে বাজেটে আপনাদের জন্য কিছুই দেয়নি।'
আমাদের দেশে কি আইন বলে কিছু আছে?
ReplyDeleteসাধারন বা শাসক বিরোধী মানুষের কোন সমস্যার সমাধান এর উপায় আছে?
সরকারি কর্মকর্তাদের ভুলের মাশুল জনগনকে দিতে হয়
আবার এক দপ্তরের কর্মকর্তা অন্য দপ্তরের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত এর কি সমাধান অদুর ভবিষ্যতে হবে?
কারন আমাদের আই এ এস, আই পি এস, আই আর এস, ও ডব্লিউ বি সি এস সহ অফিস সহকারী,বাস্তুকার, ডাক্তার উকিল যারা সরকরি কর্মস্থলে আছেন কারুর কি জনগনের টাকায় পোষ্যদের মুখের গ্রাস তুলে দিচ্ছেন আর ঐ জনগনকে ঠকাচ্ছেন।
দেখুন অবসর প্রাপ্ত মন্ত্রী আমলা রাষ্ট্রপতি ওদেরকে এলাকার সাধারণ মানুষ ও বাড়ির অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রন করে না।
হায়রে ক্ষমতা??