কবর থেকে আনিস খানের দেহ তোলা হল
অবশেষে সোমবার দুপুরে কবর থেকে আনিস খানের দেহ তোলা হল। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য এদিন বারাসতের জেলা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দেহ তোলা হয়। দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই…
কবর থেকে আনিস খানের দেহ তোলা হল
অবশেষে সোমবার দুপুরে কবর থেকে আনিস খানের দেহ তোলা হল। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য এদিন বারাসতের জেলা বিচারক রাই চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দেহ তোলা হয়। দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই হয় ময়নাতদন্ত।
রবিবার বিকেলেই সিটের সদস্যরা আনিস খানের বাড়িতে গিয়ে এ সংক্রান্ত নোটিস ধরান তাঁর বাবা সালেম খানকে। সেই নোটিসে বলা হয়, সোমবার সকালে দেহ তোলা হবে কবর থেকে। এদিন সকালেই সিটের তদন্তকারী অফিসাররা আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে যান। সালেম খান তাঁদের জানান, তিনি অসুস্থ। তাই তাঁর প্রতিনিধি ময়নাতদন্তে উপস্থিত থাকবেন। সবটাই হবে আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদের উপস্থিতিতে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওই আইনজীবী আসেন। সকাল ১০টা নাগাদ ছেলের মৃতদেহ তোলার অনুমতি দেন সালেম খান। এরপরেই আনিস খানের দাদা সাবির আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে গোরস্থানে যান। দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় সাবির খান ও তাঁদের আইনজীবী ওই অকুস্থলে জেলা বিচারকের উপস্থিতি দাবি করেন। সব মিলিয়ে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ বিচারকের উপস্থিতিতে দেহ কবর থেকে তোলা হয়। বেলা ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ পুলিসি নিরাপত্তায় দেহ নিয়ে এসএসকেএমের পথে রওনা হন সিটের তদন্তকারী অফিসাররা। সালেম খান বলেন, আমি আদালতের রায় কোনওদিন অমান্য করিনি। প্রথম থেকেই বলেছিলাম, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে দেহ তোলা হোক। এদিনও সিটের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আদালতের রায়ের উপর ভরসা করে আছি। দেখি কী হয়। তবে সিবিআইতেই যে তাঁর ভরসা, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি।
No comments