Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মূল্যবোধ যুক্ত স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আগামীদিনের সুনাগরিক গঠন করার জন্য এগিয়ে- শ্রীমতি দুর্গারানী দে

মূল্যবোধ যুক্ত  স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আগামীদিনের সুনাগরিক গঠন করার জন্য এগিয়ে- শ্রীমতি দুর্গারানী দে 
তাঁর সুদীর্ঘ শিক্ষক জীবনে প্রায় সহস্রাধিক  বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করে চলেছেন তাঁর দুই জেলার নিজ বিদ্যালয়গুলিতে, পার্শ্…

 






মূল্যবোধ যুক্ত  স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে আগামীদিনের সুনাগরিক গঠন করার জন্য এগিয়ে- শ্রীমতি দুর্গারানী দে 


তাঁর সুদীর্ঘ শিক্ষক জীবনে প্রায় সহস্রাধিক  বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করে চলেছেন তাঁর দুই জেলার নিজ বিদ্যালয়গুলিতে, পার্শ্ববর্তী হাই স্কুল এবং দুই জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে , নিজ ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা এবং বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।

তিনি একাকী পুস্তক গুলিকে  প্রথমদিকে রামকৃষ্ণ মিশন হতে গুলিকে এনে বহন করে এনে তা বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং নিজ ছাত্রছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা ও বিভিন্ন এলাকারদের মধ্যে প্রদান করেছেন।

তার এই কর্মে তিনি নিজ বিদ্যালয় ছাড়াও এলাকারএবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আশ্চর্যজনক ফল পেয়েছেন।

সমস্যা সম্পন্ন ছাত্রদের মধ্যে তিনি এই  পুস্তক প্রদান করেছেন ব্যাপকভাবে।

তাদের পুস্তক ধরিয়ে দিয়ে  তাদের বিবেকানন্দের আদর্শ আত্মবিশ্বাস আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হবার আহ্বান জানিয়েছেন।

তাঁর এই  কর্ম বর্তমান দিনেও আরো বর্ধিত আকারে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় প্রতি দিনের কর্মসূচি হিসেবে অব্যাহত।

তার শিক্ষকতা হতে সদ্য অবসর গ্রহণের পর তিনি যেমন বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তেমনি নিজ বিদ্যালয়েও বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করে চলেছেন নিয়মিতভাবে।


তিনি অবসরের আগে তার বিদ্যালয় হতে চলে আসার আগে পরবর্তী দিনগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিবেকানন্দ পুস্তক পাঠ করতে পারে সে জন্য তিনি বিদ্যালয়ে নতুন করে বিবেকানন্দ লাইব্রেরী গঠন করে  এসেছেন এবং তার পরেও তিনি গত 17 ই ফেব্রুয়ারি আরো বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের হাতে।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিবেকানন্দের আদর্শ মানুষ গড়ার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য তিনি বিদ্যালয়গুলিতে বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করে চলেছেন এবং তাদেরকে ছাত্র-ছাত্রীদের বইগুলি নিয়মিত পড়ানোর জন্য অনুরোধ করে এসেছেন।

উল্লেখ্য তাঁর এই পুস্তক প্রদানে বিভিন্ন জেলার শিক্ষক  শিক্ষিকার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীগণও অনুপ্রাণিত উদ্ভাসিত।

উল্লেখযোগ্য বিষয় তিনি বিগত দুই বছর করোনাকালীন সময়েও নিজ বিদ্যালয়ে অভিভাবক অভিভাবিকা ছাড়াও এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মধ্যে তাঁর এই বিবেকানন্দ প্রদানের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন ব্যাপকভাবে।


করোনাকালীন সময়েও এবং তারও আগে হতেই তার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হয় বিদ্যালয় বহির্ভূত অনেক অনেক ছাত্র-ছাত্রী।

তাদের কেউ সুন্দর মানুষ তৈরি করার জন্য তিনি সকলের মধ্যে নিয়মিত নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সকলকে বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করেছেন করোনাকালীন সময়েও।

করোনাকালীন পর্যায়ে যখন পুস্তক কিনতে পাওয়া যায় নি তখন তিনি তার নিজ বিবেকানন্দ লাইব্রেরীর পুস্তকগুলি নিজ এবং এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রদান করেছেন।


বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিবেকানন্দের আদর্শ প্রচার করে যেমন তিনি নিজে তৃপ্ত তেমনি ছাত্র-ছাত্রীরাও অনুপ্রাণিত।

তার অনুপ্রেরণায় মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায় ছাত্র-ছাত্রী।


উল্লেখ্য এই বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান ছাড়াও তিনি মেধাবী এবং দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গত 30 বছরে  নিয়মিতভাবে প্রদান করে চলেছেন বিভিন্ন টেক্সটবুক ডিকশনারি এবং অন্যান্য লেখক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী।


তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের হাতে এবং বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রদান করা ছাড়াও তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতিতে নিয়মিত বহু পুস্তক এবং ডিকশনারি  এবং অর্থ বৃত্তি প্রদান করেন।

তিনি এই সংস্থার লাইফটাইম ডোনার।

তিনি মাধ্যমিকে প্রথম ছাত্রকেও তার লেখাপড়ার জন্য এই সংস্থার অনুষ্ঠানে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করেন।

এছাড়া তিনি পাঁশকুড়া বাটলি বার্ট হাই স্কুলেও প্রতিবছরই নিয়মিতভাবে দুস্হ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অর্থ এবং পুস্তক নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রদান করেন।

তিনি তাঁর শিক্ষকতার অর্ঘ্য হতে বিদ্যালয়ের মেধাবী দরিদ্র মেডিকেলের ছাত্র কেউ পুস্তক কেনার জন্য অনেক অর্থ প্রদান করেন উপহার হিসাবে।

তার নিজ এলাকা এবং অন্যান্য এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের চিকিৎসার জন্য ও অর্থ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য তার শিক্ষাকতা ব্রতের অধিকাংশ অর্থই নিজ ছাত্র-ছাত্রী নিজ বিদ্যালয় এলাকাবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের  পাশাপাশি অন্য বিদ্যালয় এবং সমাজের জন্য  নিবেদিত  তার মানবসেবার অর্ঘ্য হিসাবে ‌।

পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনি কম্পিউটার কেনার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করেছেন যাতে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা কম্পিউটার শিক্ষা লাভ করতে পারে।


শিশুদের খেলাতে তে উৎসাহ প্রদানের জন্য তিনি নিজ এলাকার সমাজে এবং চক্রে অর্থ এবং মূল্যবান ট্রফি প্রদান করেন।


ছাত্র-ছাত্রীগণ যাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয় এবং সর্পদংশন না হয় সেজন্য তিনি সুদীর্ঘ তিন বছর ধরে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং কিছু এলাকা বাসীর জন্য নিয়মিতভাবে  প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ও মিড ডে মিল কর্মীদের ও মশারি প্রদান করেছেন।

তাঁর এই কর্মসূচিতে এবং সতর্ক দৃষ্টিতে ও নিয়মিত অভিভাবকদের মধ্যে সতর্ক নির্দেশনায় এলাকাতে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি এবং সর্পদংশনের ঘটনাও ঘটেনি।


উল্লেখ্য তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান করার পাশাপাশি বিদ্যালয় তাদের বিবেকানন্দ পুস্তক পড়ার জন্য নিজ বিদ্যালয়েও 2016 সাল হতে বিবেকানন্দ লাইব্রেরী গঠন করে তাঁর ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত বিবেকানন্দ পুস্তক পাঠ করিয়েছেন।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের করোনাকালীন সময়েও লেখাপড়া অব্যাহত থাকার জন্য সকলকে খাতা কলম ফাইল ইত্যাদি প্রদান করেছেন।

সকল ছাত্র-ছাত্রী পুষ্টি অব্যাহত থাকার জন্য এবং রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা জন্য তিনি 2019 সালের সকল ছাত্রছাত্রীকে এবং এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিজ হতে কিনে এনে লেবু চারা বিতরণ করেছেন এবং গাছগুলি যাতে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি অব্যাহত রেখেছেন।


করোনাকালীন সময়েও দুই বছর ধরে সকল ছাত্র-ছাত্রীর বাড়িতেই গিয়ে পাঠ এবং আন্তর্জালে পাঠ  ছাড়াও সকলের নিয়মিত মূল্যায়ন এবং মেধা পরীক্ষা নিয়ে সকলের মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য মার্কশিট ও শংসাপত্র প্রদান করেছেন ফাইল  উপহারসহ।


সকল ছাত্র-ছাত্রীর করোনাকালীন সময়েও নিয়মিত লেখাপড়া হওয়ার জন্য তিনি সকলকে খাতা কলম স্কেল এবং ফাইল প্রদান করেছেন যাতে সকলের লেখাপড়া নিরবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত থাকে।


এলাকাবাসী যাতে শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য তাদের মধ্যে কম্বল এবং শাড়ি  উপহার দিয়েছেন।

তিনি  তার সন্তান সম ছাত্রছাত্রীগণ যাতে কেউ শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য বর্তমান বছরের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও বিগত বছরের ছাত্র ছাত্রী এবং আরো কিছু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও কিছু এলাকার ছাত্র ওঅন্যান্য মানুষ জন কে সুন্দর সোয়েটার উপহার প্রদান করেছেন।

তার এলাকার ছাত্র-ছাত্রীগণ বেশিরভাগই দুঃস্থ পরিবারের দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা খেটে খাওয়া মানুষ।

তাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য  উন্নয়নের জন্য তিনি তাঁর সমগ্র শিক্ষকতা জীবন সুকঠিন সংগ্রাম করে চলেছেন।

এই জন্য যেমন তিনি তাদের ব্যাংক বই শৌচাগার এরজন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রমে  রূপায়ণ করে চলেছেন প্রতিটি মুহূর্তে; সেই রকমই তাদের ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিয়মিতভাবে ঘনঘন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, ফিনাইল ছড়িয়েছেন বাড়ি বাড়ি, এলাকার মাদক রোধ করার জন্য  সংগ্রাম করেছেন, বাল্যবিবাহ রোধের জন্য সতর্ক দৃষ্টি ও নির্দেশনা দিয়েছেন সেইরকমই প্লাস্টিক দূষণ রোধ এবং জল সম্পদের অপচয় রোধ করার জন্য  নিয়মিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের এলাকা এবং কর্মক্ষেত্রে অক্লান্তভাবে নির্দেশনা ও পরিসেবা দিয়ে চলেছেন।


তার শিক্ষারত্ন  সম্মাননার প্রাপ্ত অর্থ হতেও তিনি প্রতি বৎসর 2019 সাল হতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাঁশকুড়া ব্রাডলি বাট হাই স্কুলে হায়ার সেকেন্ডারি বেস্ট স্টুডেন্ট কে " শিক্ষারত্ন  দুর্গারানী দে গোল্ড মেডেল  ও বেস্ট স্টুডেন্ট আ্যাওয়ার্ড প্রদান করে চলেছেন।


এজন্য তিনি শিক্ষারত্ন সম্মাননার  সরকার প্রদত্ত অর্থ উপহার বিদ্যালয় কে প্রদান করেছেন- ওই অর্থের সুদ  হতে  প্রতি বৎসর গোল্ড মেডেল প্রদান করার জন্য।


এছাড়াও তিনি ওই বিদ্যালয়ে আরেকটি স্বর্ণপদক হাই সেকেন্ডারি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদান করার জন্য সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করেছেন।  সেই স্বর্ণপদক ‌2020 সাল হতে উপযুক্ত ছাত্র বা ছাত্রী কে প্রদান করা হয়।।


ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জলের ট্যাঙ্ক, জলের পাইপ লাইন, বিদ্যালয়ের রং, দুস্হ  ছাত্র-ছাত্রীদের নিরবচ্ছিন্নভাবে বৃত্তি প্রদান, ফুলের অসংখ্য টব ইত্যাদি বিভিন্ন বিভিন্ন কর্মসূচির কারনে বিদ্যালয় তাঁকে ডোনার মেম্বারের সম্মাননা দিয়েছেন। 


তাঁর বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় মন্দির নির্মাণের জন্য অনেক অর্থ প্রদান করেছেন।

তার শিক্ষাকতা ব্রতের অধিকাংশ অর্থই এইভাবে ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয় এবং সমাজের বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত হয়েছে নিয়মিত এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে সুদীর্ঘকাল বিদ্যালয় এবং সমাজ পরিবেশের সৌন্দর্যায়নের জন্য, দেশের সুনাগরিক তৈরীর জন্য, ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরীর পদ্ধতি আরো মসৃণ করার জন্য ।


তিনি তার নিজের বিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের মূর্তি স্থাপন, বিদ্যালয় পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি উদযাপন, বিবেকানন্দ মূর্তি উদ্বোধন ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ পাঠের জন্য লাল ও সবুজ চারটি দেওয়াল বোর্ড বিদ্যালয় ভেতরে এবং বিদ্যালয়ের বাইরে নির্মাণ করেছেন।

বিদ্যালয়ের বাইরে সবুজ দেয়াল বোর্ডে এলাকার যে কোন মানুষ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দময় পাঠদান দিতে পারবেন।

এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভবিষ্যৎকালেও শিক্ষার আনন্দময় মানোন্নয়নের জন্য আর এইসব কর্মসূচি চিরকাল অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া নিজ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ বিবেকানন্দ সভাগৃহ এবং বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ ও বারান্দা এবং বিদ্যালয়ের বাইরের অংশে  মনীষীদের মূর্তি এবং ফ্লেক্স দিয়ে বিদ্যালয়ের নামকরণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ যুক্ত মানুষ তৈরীর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দ পাঠের উদ্দেশ্য নিজ প্রাণপ্রিয় বিদ্যালয় কে সুসজ্জিত করেছেন হৃদয়ের সুদীর্ঘকালের প্রচেষ্টায় সুকঠিন পরিশ্রমে।

উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত কক্ষগুলি নির্মাণের জন্য তিনিসহ শিক্ষিকা হয়েও তাঁর প্রতিটি বিদ্যালয়ে  বিদ্যালয় বহির্ভূত সময়ে রাজ্য এবং জেলাতে আবেদন করেছেন এবং সেখানে যাতে অর্থপ্রাপ্তিতে কোনরকম বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য ছুটে গেছেন।

সেই অর্থে তার যে আন্তরিক ইচ্ছা গুলি অর্থ এনেও রূপায়ণ হয়নি সেগুলি তিনি নিজ শিক্ষকতার অর্ঘ  হতে পূর্ণ রুপায়ন করে দিয়েছেন তার সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের সুনাগরিক তৈরীর জন্য, তাদের আনন্দ পাঠের জন্য।


ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দময় শিখনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য তিনি বিদ্যালয়কে  একটি সবুজ রঙের শিখন আলমারি উপহার দিয়েছেন। ওই আলমারিতে তার বিদ্যালয় কে দেওয়া বিবেকানন্দ লাইব্রেরী, বিদ্যালয়ের ফ্লেক্স, ‌FIRST AID বক্স, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং গণিতের আনন্দময় শিখন সামগ্রী

ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দপাঠের জন্য যা প্রদান করেছেন তা রক্ষিত থাকবে এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণ ও ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ পাঠের জন্য তা ব্যবহার করবেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের পানীয় জল 

বাথরুমের সরঞ্জাম 

বসার আসন ও তিনি প্রদান করে এসেছেন যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়।


এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দময় ক্রীড়ার জন্য তিনি ফুটবল ক্রিকেট ব্যাট বল ইত্যাদি সবকিছুই নতুন ভাবে প্রদান করে এসেছেন।

বিদ্যালয় কে সজ্জিত রাখার জন্য তিনি ফুলের টব ও রেখে এসেছেন।


তার সমগ্র শিক্ষক জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে বিদ্যালয়ের জন্য উৎসর্গ করেছেন। শিক্ষকতা তার কাছে পূজা। ছাত্র-ছাত্রীগণ  তার কাছে পবিত্র দেব শিশু।

শিক্ষকতা সেই পূজার অর্ঘ্য।

তার শিক্ষকতা ব্রত হতে তিনি তার শিক্ষকতা কর্মের সমস্ত কর্মসূচি এবং অনুষ্ঠান নিরবছিন্নভাবে করোনাকালীন সময়েও পালন করেছেন নিজের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও অভিভাবক অভিভাবিকা এবং এলাকাবাসীর মধ্যে সকলের মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য।

বিগত 20‌16 সাল হতে বিদ্যালয়ের গৌরবময় মাসিক পত্রিকা" সুপ্রভাত" তার লেখনি এবং পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত হয়েছে প্রথমে দেওয়াল পত্রিকা এবং পরবর্তীকালে মাসিক পত্রিকা হিসাবে- যেগুলির প্রচ্ছদ ও করোণা কালীন সময়ে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি নিজ হতে সেগুলিকে পুস্তকের আকারে প্রকাশ করেছেন।


তার শিক্ষকতা জীবনের সুদীর্ঘকালের প্রতিটি মুহূর্তই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উৎসর্গীকৃত।


তিনি ড্রপ আউট ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য তার সুকঠিন শ্রমে 2005 সালেই রূপায়িত করতে পেরেছেন রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়। শিক্ষক নিয়োগসহ বিদ্যালয়ের  সম্পূর্ণ আয়োজন তার সুকঠিন শ্রমে এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় রূপায়ণ সম্ভব হয়েছে।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুন্দর রাস্তা তৈরি করার জন্য ও বর্ধিত আকারে সংগ্রাম করেছেন যাতে ছাত্রীরা সুন্দর রাস্তায় হাই স্কুলে পড়াশোনার জন্য যেতে পারে। তার সেই প্রচেষ্টায় সুন্দর রাস্তা তৈরি হয়েছে।

শিশু শ্রম রোধ করে তাদের শিক্ষার জন্য তিনি পূর্ণ ব্যবস্থা করেছেন। কন্যা শিশুদেরও শ্রম রোধ করে তিনি সকল প্রকারের শিশুদের জন্য শিক্ষার অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।।

একদিকে যেমন তাদের পুস্তক ইত্যাদি প্রদান করেছেন তেমনি তাদের নিজে পাঠ দান ও করেছেন। 

হাইস্কুলে তাদের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ফিশ তিনি প্রদান করেছেন।

সেই কন্যাশিশুদের বিবাহের সময় তিনি দান ছাড়াও স্বর্ণ গহনাও উপহার দিয়েছেন যা ছিল আবশ্যিক।


ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি চালু করার জন্য তিনি আজ হতে 16 বছর আগেই নিজে অর্থ দিয়ে মেধাবী দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থবৃত্তি প্রদান করেছেন যা তাদের উচ্চশিক্ষালাভের জন্য সহায়ক হয় এবং দেশে ব্যাপক ভাবে সেই বৃত্তি চালু করার জন্যও তিনি নিজ শিক্ষকতা অর্থ হতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করারও  ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন-  যাতে এই কাজে বর্ধিত আকারে দেশ রাজ্য ও সমাজ সকলে অনুপ্রাণিত হন।


বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান গুলিকে ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকাবাসী সকলের আনন্দময় ভাবে করার জন্য তিনি প্রতিটি অনুষ্ঠান ফুলমালা এবং ফ্লেক্স দিয়ে সুসজ্জিত  মঞ্চ তৈরি করে করার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে।

এই সমস্ত কর্মসূচি তার ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের সময় বাইরে অক্লান্ত কঠিন শ্রমে রূপায়িত করেছেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার মান উন্নয়নের জন্য একদিকে যেমন তিনি তার সক্রিয়ভাবে আনন্দপাঠ দিয়েছেন, তেমনি সকলের মেধার উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছেন। তেমনি তাদের পুর্ণ  বিকাশের জন্য বিদ্যালয় এর নাম এবং বিদ্যালয়ের ছাত্রীর  নামে ভারত সরকারের অ্যাফিলিয়েশনে প্রাপ্ত দুটি বিজ্ঞান  ক্লাবের কর্মসূচি কো-অর্ডিনেটর হিসাবে অক্লান্তভাবে রুপায়ন করে এসেছেন এবং বর্তমানকালেও তার সেই কর্মসূচি অব্যাহত আছে।


করোনাকালীন সময়ে তিনি তার শিক্ষাকতা হতে রাজ্য এবং দেশের জন্য শিক্ষক হিসাবে তাঁর এতসব কর্মসূচির মধ্যেও বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছেন। তেমনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই দুই বৎসর কাল সকলের ফল ও ট্র প্রোটিনের জন্য সকল ছাত্রছাত্রীকে 110 টাকা এবং 150 টাকা করে উপহার দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য জনের জন্য এই দুই বছরে অধিকাংশ সময়ই নিরবচ্ছিন্নভাবে বহুবার অধিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছেন তাদের খাদ্য চিকিৎসা ইত্যাদি প্রয়োজনে যাতে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং জীবন নিরাপদ থাকে। নিজ  ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা ছাড়াও এলাকার আরো কিছু মানুষজনকে তিনি নিয়মিত নিরবচ্ছিন্নভাবে তার এই পরিষেবা দিয়ে প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকে চলেছেন। করোনাকালীন সময় ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার জন্য তিনি করোণা করে প্রতিটি মুহূর্ত তাদের পাশে থেকেছেন।

উল্লেখ্য তার এই নিরবচ্ছিন্ন নির্দেশনা এবং পাশে থাকার জন্য তার করুণাময় ঈশ্বরের আল্লাহর কাছে আন্তরিক প্রার্থনায় এলাকার  কেউই করোণা আক্রান্ত হয়নি এবং সকলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে আনন্দময় জীবন যাপন করেছেন।


তার বিজ্ঞান ক্লাব এর কর্মসূচি গুলি ও তিনি করোনাকালীন সময়ে অভিভাবকদের মধ্যে রূপায়ন করেছেন সকলের করোনাকালীন সর্তকতা  ছাত্র-ছাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য। এজন্য তিনি তাদের ঘনঘন নিয়মিতভাবে প্রত্যেককে সাবান স্যানিটাইজার মাস্ক ইত্যাদি উপহার দিয়েছেন।। উল্লেখ্য এই বিজ্ঞান ক্লাবের সকল প্রকার কর্মসূচি তিনি নিজ  শিক্ষকতা  হতে রূপায়িত করেন।

ভারত সরকারও এই বিজ্ঞান ক্লাবগুলির জন্য কোন প্রকার অর্থ প্রদান করেননি।


2021 এর ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিনি সকলের পাশে থেকেছেন তার সকল প্রকার পরিষেবা দিয়ে এবং তাদের বাড়ি তৈরীর সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভা কে আবেদন পত্র লিখিয়ে সকলের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন যাতে তাঁদের বাড়ি তৈরীর জন্য সকলে শীঘ্র অর্থ পান।


এলাকাবাসীর সকল প্রকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনি অক্লান্ত ভাবে তাদের পাশে থেকেছেন যাতে তাঁর দেওয়া পরিষেবা ছাড়াও সকলে সরকারি পরিষেবা লাভ করে।


সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পরবর্তী সময়ে তিনি প্রথমদিকে বিদ্যালয় এর ভিতর এবং তারপর বিদ্যালয়ের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাক্ষরতা শিক্ষা মানোন্নয়ন এবং বিজ্ঞানসম্মত পাঠ ইত্যাদি সকল কর্মসূচি গুলি কে রূপায়িত করেছেন বিদ্যালয়ের বাইরে এবং আন্তর্জালে মাধ্যমে। বর্তমান দিনের প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী কে আন্তর্জালের মাধ্যমে তাদের বিকাশের জন্য যুক্ত রেখেছেন।

তার প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সুনাগরিক তৈরীর জন্য বর্তমানে তিনি অক্লান্তভাবে তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন।


তেমনি বর্তমানে তার ওই কর্মসূচি গুলি নিয়ে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর কাছে গিয়ে অক্লান্তভাবে তার পূজা ও সেবা দিয়ে চলেছেন।


উল্লেখ্য তার পাঠক্রমে আবিষ্কার মূলক শিক্ষাক্রমের জন্য

একদিকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণ স্বাক্ষর করে চলেছেন প্রাক-প্রাথমিক প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ইত্যাদি সকল শ্রেণী কে- তেমনি জুনিয়র হাইস্কুলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে পূর্ণ স্বাক্ষর করার পরিষেবা আন্তরিকভাবে তার প্রতিটি মুহূর্তের আনন্দশ্রম দিয়ে রূপায়িত করে চলেছেন।

 তেমনি তাদের আগামী দিনের দেশের সুনাগরিক তৈরীর জন্য বিরামহীন আনন্দময় ভাবে তার নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন প্রতিটি বিদ্যালয়ে।


এছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য গণিত বিজ্ঞান ইতিহাস বাংলা ইত্যাদি বিষয়ের উপর তার আবিষ্কার মূলক পাঠ ও নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন।

তার প্রায় 37 বছর শিক্ষকতা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রূপায়িত হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয় এবং সমাজের জন্য।

ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসী এবং সমাজ ছাড়াও তিনি নিজের বিদ্যালয়ের নাম কে গৌরবের শিখায় তুলে ধরার জন্য তিনি সকল প্রকার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় কে নান্দনিক বিদ্যালয় পরিণত করা ছাড়াও বিদ্যালয়ের  নাম লিখন, বিদ্যালয়ের পত্রিকা প্রকাশ,

বিদ্যালয় পরিবেশকে বিরামহীনভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা,

 বিদ্যালয়ের জন্য অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখা 

ছাড়াও তিনি করা কালীন সময়ে দেশ এবং রাজ্যে বিদ্যালয় নামে নিজে হতে অর্থ প্রদান ও করেছেন।

ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও তিনি অভিভাবকদের স্বাক্ষর করার জন্য বিদ্যালয় বহির্ভূত সময়ে তার প্রচেষ্টা  বিরামহীনভাবে অব্যাহত রেখেছেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় বিজ্ঞান মেধা এবং চতুর্থ শ্রেণীর মেধা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নির্দেশনা পরীক্ষার্থীর এবং উস্কানি দেয়া ছাড়াও তিনি পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে উপস্থিত হয়ে তাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

এই কারণেই সকল ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তিনি প্রতিটি মুহূর্তের মূল্যায়ন এবং সংশোধনী পাঠ ছাড়াও প্রত্যেকের জন্যে নিজের বিদ্যালয় মেধা পরীক্ষার আয়োজন করে তার নির্দেশনা সহ পূর্ণরূপ করেছেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের আনন্দময় পাঠের জন্য নিজে হতে সুদূর কলকাতা হতেল আনন্দময় চাট এবং বিজ্ঞানের সামগ্রী যেমন কিনে এনেছেন তেমনি নিজে তৈরি করেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শ্রেণীকক্ষে তৈরি করেছেন এবং অধিকাংশ পাঠেই তিনি বাস্তব জীবন হতে বাস্তব পরিবেশ হতে বিনা ব্যয়ে প্রাপ্ত ট্রেন গুলি ব্যবহার করেছেন।

তার এইসব আয়োজনে তার ছাত্র ছাত্রীরা সকলেই দরিদ্র পরিবারের হলেও সকলেই সমৃদ্ধ অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং বিজ্ঞান চেতনায় উদ্ভাসিত।

তিনি ছাত্রছাত্রীদের  সকলকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।

যদিও তার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি উচ্চপদে অবস্থান করছে তবুও তিনি প্রতিটি কর্মকে ছাত্র-ছাত্রীদের সমান মর্যাদা দেখার শিক্ষা দিয়েছেন যাদের প্রত্যেকেরই মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয় কে সমাজে তুলে ধরতে পারে।

শিক্ষিকা তার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সম্পূর্ণ এবং তিনি প্রতিটি মুহূর্তে স্বর্গীয় আনন্দ উপলব্ধি করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারই তার পরিবার। তাদের সুখ দুঃখ তার সুখ দুঃখ।

এই ভাবেই কেটেছে শিক্ষিকার সুদীর্ঘ শিক্ষক জীবন অবসরের পরেও আজও একইভাবে অব্যাহত।

নিজ ছাত্র-ছাত্রী এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলার  বিশাল  সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তরে তার অবস্থান।

তাঁর দেশের সুনাগরিক তৈরীর হিসাবে শিশুদের আগামী দিন কে আরো সুন্দর করার জন্য, শিশুদের জন্য পৃথিবীটাকে আনন্দময় ভাবে বাসযোগ্য করার জন্য তিনি প্রতিটি মুহূর্তে অক্লান্তভাবে পূজা দিয়ে চলেছেন।

মানব শিশুদের আগামী দিনের সুনাগরিক তৈরীর জন্য তারে হৃদয়ে প্রচেষ্টায় তিনি উৎসর্গীকৃত শিক্ষিকা চলেছেন সমগ্র শিক্ষক জীবনে ক্লান্তিহীন বিরামহীন একক প্রচেষ্টায় উন্নতমস্তকে সকল প্রকার কষ্ট ভুলে আনন্দময় ভাবে।

এই কাজে নেই তার কোন বিরাম। তিনি দীর্ঘ ছুটি এবং রবিবার ছাড়া অন্যান্য ছুটির দিনগুলিতে ও ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে বিশেষভাবে কন্যাশিশুদের বাড়িতে করোনা কালীন সময়ে তাদের বাড়িতে বাড়িতে পথে পথে এবং কোন বিশেষ বিশেষ জায়গায় বসিয়ে বসিয়ে তিনি অক্লান্তভাবে দিয়ে চলেছেন তার আনন্দপাঠ সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য স্বাস্থ্যের জন্য তাদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ এর জন্য।

ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনে তিনি যে কোন সময় ছুটে গেছেন তাদের বাড়িতে।

তেমনি ছাত্র-ছাত্রীরাও শিক্ষকতা জীবনের বিভিন্ন বিদ্যালয় হতে আনন্দপাঠ গ্রহণের জন্য ছুটে গেছেন তার বাড়িতে।

তাঁর পরিবারও আন্তরিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রূপায়ন করেছেন।

এত শ্রম এর মধ্যেও তাঁর ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা এবং এলাকাবাসী তার বেঁচে থাকার প্রশ্বাস অক্সিজেন পূজা।

ছাত্র-ছাত্রীদের এবং অভিভাবক অভিভাবিকা দের আনন্দের জন্য  তিনি রূপায়ণ করেছেন অনেক অনেক নান্দনিক অনুষ্ঠান।

কারণ অভিভাবিক অভিভাবিকা সকলেই দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করেন বলে ছাত্র এবং তার পরিবারের সকলের উদ্ভাসিত হওয়ার জন্য তাঁর সুদীর্ঘকালের অন্তরের আয়োজন।।

তাঁর শিক্ষক জীবনে তার সুদীর্ঘকালের শিক্ষকতা কার্যের জন্য তিনি নিজ রাজ্য দেশ এবং পৃথিবী হতে পেয়েছেন বহু সম্মাননা।

 তার পাঠক্রমের উপর আবিষ্কার মূলক কাজের জন্য তিনি রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন এবং দেশ-বিদেশের বেস্ট টিচার অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল  ডিজিটাল এক্সেলেন্স আওয়ার্ড, জগদীশ বোস ফিল্ম পাপেরট্রি ফেস্টিভেল ইন্টারন্যাশনাল , ন্যাশনাল টিচার সাইন্টিস্ট ফেষ্টিভেল এ গোল্ড মেডেল ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড, টিচার ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি 2020 অ্যাম্বাসেডর, অ্যাচিভমেন্ট সার্টিফিকেট এবং বহু অ্যাপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়েছেন।

দেশের মূল্যবোধ যুক্ত সুনাগরিক তৈরীর জন্য শিক্ষারত্ন দুর্গা রানী দের সহস্রাধিক বিবেকানন্দ পুস্তক প্রদান, নিরবচ্ছিন্নভাবে দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পুস্তক ডিকশনারি এবং বৃত্তি প্রদান, নান্দনিক বিদ্যালয় রুপায়ন, রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এবং ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজের জন্য তার শিক্ষকতার অর্ঘ্য হতে বিরামহীন কর্মসূচির  পালন করছেন।

দেশের মূল্যবোধ যুক্ত সুনাগরিক তৈরীর জন্য শিক্ষারত্ন দুর্গা রানী দের সহস্রাধিক বিবেকানন্দ পুস্তক , নিরবচ্ছিন্নভাবে দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে টেক্সটবুক , মেধাপুস্তক,  ডিকশনারি  ও অন্যান্য  পুস্তক  এবং  নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বৃত্তি প্রদান, নান্দনিক বিদ্যালয় রুপায়ন, রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এবং ছাত্র-ছাত্রী ও সমাজের জন্য তার শিক্ষকতার অর্ঘ্য হতে বিরামহীন কর্মসূচির .....








No comments