৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার করল মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন
গত ইং ৩১ জানুয়ারি 2022, সোমবার বিকাল ৩ টা ৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা হলদিয়াগামী একটি প্রাইভেট কার মহিষাদলের NH- 41 সড়কের কাপাসএড়্যা বাস স্টপ…
৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার করল মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন
গত ইং ৩১ জানুয়ারি 2022, সোমবার বিকাল ৩ টা ৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা হলদিয়াগামী একটি প্রাইভেট কার মহিষাদলের NH- 41 সড়কের কাপাসএড়্যা বাস স্টপেজের কাছে মেন ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে। গাড়িটির নম্বর WB 30AG, 6044 । গাড়িটির চালকের নাম সঞ্জীব ঝা । গাড়িটি Five Star Logistics PVT. LTD কোম্পানির ছিল। কলকাতা 107 রেল কলোনী , নোনাডাঙ্গা, ফ্ল্যাট নম্বর 329 থেকে রওনা দিয়েছিল হলদিয়ার রানীচকের FIVE STAR কোম্পানির অফিসে আসার উদ্দেশ্যে। গাড়ী চালক সঞ্জীব ঝা র হাতে গাড়ির ভিতর সাত লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল কলকাতার অফিস থেকে হলদিয়া অফিসে পৌঁছানোর জন্য লেবার পেমেন্ট করবে বলে। গাড়ির চালক সঞ্জীব ঝা গাড়িটিকে নিয়ে প্রথমেই সরাসরি হলদিয়া না এসেই, আগে তার কলকাতার নিজস্ব বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে তার বাবার হাতে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে আসেন । তারপর তার সিনেমার ছবির মতো অভিনয় চলতে থাকে । বাড়ি থেকে রওনা দেন চালক সঞ্জীব ঝা হলদিয়ার রানিচক এর অফিসের উদ্দেশ্যে । কাপাস এড়্যা ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারার ঘটনা ট্রাফিক পুলিশরা চালককে মহিষাদল বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। চালক বলেন আমার গাড়ির ভিতরে সাত লক্ষ টাকা ছিল দুর্ঘটনার সময় কে বা কাহারা নিয়ে নেয়। কোমরের যন্ত্রণা বেশি হচ্ছে বলে নাটক করে । হলদিয়া মহাকুমা হাসপাতালে আর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক গন। সাত লক্ষ টাকা দুর্ঘটনার সময় কে বা কাহারা নিয়ে নেয় ।এই মর্মে মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ এর নামে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ করেন কোম্পানির কর্মচারী উৎপল খাটুয়া। দুর্ঘটনার একটি মামলা শুরু হয় হলদিয়ার A.C.J.M কোটে । গাড়ির চালককে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কোর্ট থেকে রিমাইন্ডার নেয় মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন। এই কেসের তদন্তকারী অফিসার মহিষাদল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মলয় অধিকারী সহ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন গোস্বামী চালকের কলকাতার বাড়িতে যান। চালক এর স্ত্রী রিঙ্কু ঝা স্বীকার করেন তার স্বামী হলদিয়া যাওয়ার আগে বাড়িতে আসে এবং তার শশুর অর্থাৎ চালকের বাবাকে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে আসেন। মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন কলকাতার বাড়ি থেকে চালকের বাবাকে মহিষাদল থানায় নিয়ে আসেন। তিনি নিজ হাতে ৬ লক্ষ ৫০ হাজারটাকা তুলে দেন মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন গোস্বামী এবং তদন্তকারী অফিসারের হাতে। চালক ৩০ হাজার টাকা খরচ করে এবং 20 হাজার টাকার গহনা কিনে বলে স্বীকার করেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে। বর্তমানে গাড়ির চালক সঞ্জীব ঝা ও উদয় না ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। মহিষাদল থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন গোস্বামী বলেন অনেক দক্ষতার সহিত লড়াই করে ফাইভ স্টার লজিস্টিক কোম্পানি কে মহিষাদলের পুলিশ প্রশাসন ৬ লক্ষ ৫০হাজার টাকা উদ্ধার করে দিতে পেরেছেন।
No comments