Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে দার্শনিক ও জীববিজ্ঞানী ডারউইনের জন্মদিবস পালন

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে দার্শনিক ও জীববিজ্ঞানী ডারউইনের জন্মদিবস পালন
 ব্যস্ততম সকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ,হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে হলদিয়া গভ: স্পন্সরড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন স্…

 


পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে দার্শনিক ও জীববিজ্ঞানী ডারউইনের জন্মদিবস পালন


 ব্যস্ততম সকালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ,হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে হলদিয়া গভ: স্পন্সরড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন স্কুলে ৪ টি স্কুলের বাছাই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মহান দার্শনিক ও জীববিজ্ঞানী ডারউইনের জন্মদিবস পালন ও নাট্য কর্মশালা।প্রশিক্ষক ছিলেন বিমল মাইতি,সৌমিত্র চৌধুরী ও শিবপ্রসাদ মিশ্র।

 হলদিয়া বিজ্ঞান পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা ও সন্ধ্যে তে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উদযাপন কমিটির নতুন গৃহের উদ্বোধন উপলক্ষে আবৃত্তির অনুষ্ঠান।বেশ জমজমাট ব্যাপার।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র অন্যতম বিজ্ঞানকর্মী নেত্রী সুচিস্মিতা  মিশ্র বলেন আজ তাঁর জন্মদিন।বাবা ,পিতামহ দুজনেই ডাক্তার ছিলেন।তাই চেয়েছিলেন ডানপিটে দুষ্টু ছোট ছেলেটি ডাক্তার হোক।মাত্র ৯ বছর বয়সে মা হারানো বালকের পড়াশোনার দিকে বাবার ছিল কড়া নজর। ভর্তি করা হল এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য। মন নেই ১৬ বছরের বালকটির ডাক্তারি ক্লাসে।মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে ফিরলেন বাড়ি।বাবা পাঠালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালযে পুরোহিত হওয়ার শিক্ষা গ্রহণের জন্য।সেখানে দিব্যি জঙ্গলে ঘুরে পোকামাকড় ধরতেন আর তাস খেলে, বন্ধুকের নিশানা অভ্যাস করে সময় কাটাচ্ছিলেন বালক।প্রকৃতি প্রেমিক বালকটিকে পছন্দ হল উদ্ভিদবিদ জন হেন্সলোর।তার মনে বুনে দিলেন সমুদ্র অভিযানের স্বপ্ন,অজানাকে জানার ক্ষিদে।"The man who walks with Henslow" তাঁর আরেক নাম। পুরোহিতের পরীক্ষায় পাশ করে হেন্সলো র সুপারিশে চললেন  অকূল সমুদ্র পাড়ি দিতে অকুতোভয় ২২ বছরের যুবক।ঘুরে বেড়ালেন এইচ,এম এস বিগল এ চেপে  দক্ষিণ আমেরিকার আশেপাশের দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকা,অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি ৫ বছর ধরে।এবার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন সকলে আমি কোন প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের কথা বলছি?ঠিক ধরেছেন,চার্লস ডারউইন।

৫ বছর ধরে প্রকৃতির রহস্য দেখতে দেখতে চলেছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে।কখনো আমাজনে দুর্গম অরণ্য,চিলির তট রেখার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি,গেলাপোগাসের জীববৈচিত্রের জগতে,.....সংগ্রহ করলেন নানা আকারের বিচিত্র সব নমুনা,জীবাশ্ম,আর তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের পর সবকিছু নথিভুক্ত করলেন। বাইবেলের পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য যে আসলে সঠিক নয় তা বুঝতে পেরে লিখলেন প্রজাতি সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।১৮৫৯ সালে প্রকাশিত হল "অরিজিন অফ স্পিসিস......"।উঠলো সমালোচনার ঝড়।কারন প্রজাতির উদ্ভব যেমন এক প্রজাতি থেকে রূপান্তরের মাধ্যমে অন্য প্রজাতির জন্ম হয় প্রকৃতির নিয়ম মেনে ,মানুষের  বিবর্তন ও সেভাবেই হয়েছে। তিনি "ডিসেন্ট অফ ম্যান" বইতে  মানুষের পূর্বপুরুষ যে বানর তা বিশ্লেষণ করেছেন।তিনি গবেষণার দ্বারা একটি মতবাদ প্রকাশ করেন",উদ্ভিদ ও প্রাণী একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উদ্ভুত হয়েছেন",যা প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ  নামে পরিচিত।সমালোচিত হয়েছেন জীবদ্দশায়,মৃত্যুর পরও,হচ্ছেন এখনো।কারণ ধর্মবিশ্বাসের ওপর এমন আঘাত  মানবেন না ধর্মীয় কট্টর মৌলবাদীরা।বিদ্রুপ, ব্যঙ্গচিত্র,সমালোচনা সত্ত্বেও প্রজাতির উদ্ভব ও বিকাশের এই তত্ত্ব আজও সমান  প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ন।তাই, ডারউইনবাদ আলোচিত হোক সারা পৃথিবীতে।সারা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলুক মহান এই দার্শনিক বিজ্ঞানীর জীবন ও আবিষ্কারের চর্চা।

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হলদিয়া শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রে ডারউইনের জন্মদিন উপলক্ষে গত  ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি আলোচনা সভা ও নাটকের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় হলদিয়া গভ: স্পন্সরড বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনে।


No comments