Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পারিবারিক সহায়িকার ছেলেমেয়েদের দুয়ারে বুক ব্যাঙ্ক-জয়নগর হাইস্কুল

পারিবারিক সহায়িকার ছেলেমেয়েদের দুয়ারে বুক ব্যাঙ্ক 
'বুক ব্যাংক' পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিনব প্রয়াস৷২০০৮ বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক কানাই মহন্ত মহাশয়ের নিরলস প্রয়াসে স্হাপিত হয় এই বুক ব্যাংক৷ম…

 



পারিবারিক সহায়িকার ছেলেমেয়েদের দুয়ারে বুক ব্যাঙ্ক 


'বুক ব্যাংক' পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিনব প্রয়াস৷২০০৮ বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক কানাই মহন্ত মহাশয়ের নিরলস প্রয়াসে স্হাপিত হয় এই বুক ব্যাংক৷মূলত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তিনি এই বুক ব্যাংকের সূচনা করেন৷বুক ব্যাংকের মত এই অভিনব উদ্যোগ সম্ভবত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথা পশ্চিম বঙ্গে এই প্রথম৷

   বুক ব্যাংক আসলে কি?এই প্রশ্নের উত্তরে এর স্রষ্টা কানাই মহন্ত জানান,"ব্যাংকে যেমন টাকাপয়সা লেনদেন হয় এখানেও ঠিক তেমনি লেনদেন হয় বই৷দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বইয়ের মোট মূল্যের মাত্র দশ শতাংশ অর্থ প্রদান করে নিতে হয় এই বই৷একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ৪১০০ টাকা মূল্যের বইয়ের (সহায়িকা সহ) দিতে হয় মাত্র ৪১০টাকা৷ঠিক তেমনি নবম ও দশম শ্রেণীর বইয়ের জন্য যথাক্রমে দিতে হয় ২৯০ ও ৩০০ টাকা করে৷বছর শেষে এই বই ফেরত নিয়ে তা আবার অন্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেওয়া হয়৷"

        ছাত্রাবস্হায় দারিদ্রের মধ্যে জীবন কেটেছে কানাইবাবুর৷নিজের বই কেনার ক্ষমতা ছিলনা তার৷লোকের কাছে বই ভিক্ষা করে চালিয়ে যেতে হয়েছে পড়াশুনা৷আর এই বইয়ের অভাবই কানাইবাবুকে প্রেরণা যুগিয়েছে বুক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে৷দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় এই উদ্দেশ্যে বন্ধুদের নিয়ে Poor Aid Fund তৈরি করেন তিনি৷

     বুক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পেছনে আমার এক সহ কর্মীর কথা না বল্লেই নয়৷তিনি হলেন বলাই চরণ সামন্ত৷  বিদ্যালয়ে সেইসব ছাত্রছাত্রীদের দেখে ভীষণ কষ্ট হত কানাইবাবুর যারা বই কিনতে পারতো না৷বইয়ের অভাবে বিদ্যালয়ে আসতো না তারা৷তাই এদের কথা ভেবে বলাইবাবুকে অনুরোধ করেন কিছু বই কিনতে৷মন্জুর হল সেই অনুরোধ৷আর সেই থেকেই অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে চলছে আমার সাধের বুক ব্যাংক৷

      তবে সবাই কিন্তু এই বই পাবে না৷বি.পি.এল.রেশন কার্ডধারী দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের এই বই দেওয়া হয়৷প্রতি বছর পাচঁশতাধিক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ টাকার বই বিচরণ করা হয়৷১ থেকে ৩০-এর মধ্যে যারা থাকে তাদের নতুন ও বাকিদের পুরাতন বই দেওয়া হয়৷

     বইয়ের মূল্য বাবদ যে দশ শতাংশ অর্থ নেওয়া হয় তা গচ্ছিত  রাখা হয় বুক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে৷প্রায় তিন লাখ টাকা ফিক্সড্ করা আছে বুক ব্যাংকের নামে৷এই গচ্ছিত অর্থের সুদের টাকায় কেনা হয় অতিরিক্ত বই৷

   বিভিন্ন কারখানা ঘুরে ঘুরে কানাইবাবু সংগ্রহ করেন বই৷ব্যক্তিগতভাবেও অনেক শুভানুধ্যায়ী বই ও অর্থ প্রদান করে  উৎসাহিত করেন কানাইবাবুকে৷

     কানাইবাবুর লক্ষ্য বুক ব্যাংকের নামে অন্ততপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখা,যাতে তাঁর অবর্তমানেও দরিদ্র ছাত্রছাতত্রীরা এই বুক ব্যাংক থেকে বই নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়৷


No comments