ছিল তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিস, হয়ে গেল নির্দলের কার্যালয়… অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগ ঘাসফুলে
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড কার্যালয় বদলে হল নির্দল অফিস। এতদিন কার্যালয়ে দলনেত্রী বিরাট …
ছিল তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিস, হয়ে গেল নির্দলের কার্যালয়… অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগ ঘাসফুলে
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড কার্যালয় বদলে হল নির্দল অফিস। এতদিন কার্যালয়ে দলনেত্রী বিরাট ছবি ছিল। শনিবার থেকে সেসবও উধাও। সরানো হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেল্লাই সাইজের কাট আউট। অভিযোগ, দিনে দুপুরেই রাগে ক্ষোভে এই কাণ্ড ঘটান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি সরানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। মুহূর্তে তৃণমূলের কার্যালয় বদলে যায় নির্দলের দফতরে। কাঁথি পুরসভার কাঁথি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের জেরেই এমন ঘটনা বলে খবর। শনিবার দুপুরে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। কর্মীদের দাবি মেনেই অবশেষে নির্দল প্রার্থী হতে চলেছেন অমলেশ পাত্র।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সীতারাম মাজি বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর থেকেই অমলেশ পাত্র সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এলাকার সংগঠনকে বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, এবার পুরভোটে অমলেশকে প্রার্থী করা হবে বলে এক প্রকার ধরেই নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তালিকা আসতেই হতবাক হয়ে যান। সেখানে নাম নেই অমলেশ পাত্রের। এরপরই রাগে, ক্ষোভে দলীয় কার্যালয় থেকে একে একে তৃণমূলের ‘নিশান’ মেটাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
অমলেশ পাত্র বলেন, “দলবাজির কারণে আমাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেনি। টাকার বিনিময়ে টিকিট ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। কর্মীদের দাবি মেনে আমি নির্দল প্রার্থী হব। আমি নির্দলে পুর নির্বাচন লড়ব। কর্মীরা আমার পাশে রয়েছেন। আমাদের যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি রয়েছে দলের। কমিটির লোকেরা সকলেই ক্ষিপ্ত এই প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে। তারা বলছে, এসব টাকা পয়সার ব্যাপার হতে পারে। টাকা দিয়ে এসব টিকিট ক্রয় বিক্রয় ব্যাপারের জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা বলেছেন আপনাকে নির্দল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা আপনাকে সমর্থন করি। এই ব্যানারও খুলে দিতে হবে বলেছে ওরা। ওরাই খুলছে।”
No comments