প্রায় ১৮ হাজার কেজি ভেজাল সর্ষের তেল উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ায় এক ভেজাল সর্ষের তেল কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ডোমজুড় থানার জালান কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের নয় নম্বর গলিতে আরতি ব্র্যান্ড না…
প্রায় ১৮ হাজার কেজি ভেজাল সর্ষের তেল উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ায় এক ভেজাল সর্ষের তেল কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ডোমজুড় থানার জালান কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের নয় নম্বর গলিতে আরতি ব্র্যান্ড নামে চলছিল ওই তেল কারখানা। সোমবার দুপুরে সেখানে হানা দেন ইবি কর্তারা। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ ভেজাল সর্ষের তেল। আটক করা হয়েছে কারখানার জনাকয়েক কর্মচারীকে।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে কয়েক মাস আগে কলকাতার চেতলার একটি অয়েল মিলে ভেজাল তেল বিক্রির খবর আসে। সেখানে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ভেজাল সর্ষের তেল উদ্ধার হয়। পরীক্ষাগারে দেখা যায়, তাতে সর্ষের তেল রয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। বাকিটা অন্য তেল। এই ভেজাল তেল কাণ্ডের তদন্তে গোয়েন্দাকর্তারা নরেন্দ্রপুরের এক ডিস্ট্রিবিউটরের খোঁজ পান। সেখানে বহুদিন ভেজাল তেল বিক্রির রমরমা কারবার চলছিল। সেখান থেকেও গোয়েন্দারা বিপুল পরিমাণ ভেজাল ভোজ্যতেল উদ্ধার করেন। ওই ঘটনাস্থল থেকেই আরতি নামে এই কারখানার হদিস মেলে। দীর্ঘদিন ধরে অন্য একটি কোম্পানির ভোজ্য তেল এই কারখানাতেই নিয়ে এসে চলত ভেজাল মেশানোর কাজ। এরপর সেই তেল পৌঁছে দেওয়া হতো কলকাতা ও জেলার বাজারে। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে ইবিকর্তারা এদিন হানা দেন ওই কারখানায়। ১৭ হাজার ২৫০ কেজি ভেজাল ভোজ্য তেল উদ্ধার করেন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া তেলের মধ্যে ১১৫০টি ভর্তি টিন, ১৫১২টি খালি টিন ও এক লিটার তেলের ১২ পাউচ বিশিষ্ট ১১৩০টি কার্টুন উদ্ধার হয়। এবিষয়ে ইবি কর্তা যুগলকিশোর দাঁ বলেন, আমরা একাধিক জায়গা থেকে তথ্য পেয়েছিলাম জালান কমপ্লেক্সে ভোজ্যতেলের এই কারখানার বিরুদ্ধে। প্রথম ঘটনাতে আমরা চেতলা থানায় একটি কেস করি। তার তদন্তে খোঁজ মেলে এই জায়গার।
প্রসঙ্গত, কোথা থেকে ওই তেল নিয়ে আসা হতো এবং তাতে কী ধরনের ভেজাল মেশানো হতো, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দাকর্তারা। সমস্ত তেল পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষাগারে। পাশাপাশি কলকাতার বাজারে এই তেল কীভাবে বিক্রি করা হতো, তাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। ধৃত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারখানাটির মালিকের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
No comments