রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ আদানি পোর্ট কর্ণধারের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করে বাংলায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলেন আদানি পোর্টের কর্ণধার করণ আদানি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ…
রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ আদানি পোর্ট কর্ণধারের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করে বাংলায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলেন আদানি পোর্টের কর্ণধার করণ আদানি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় উঠে আসে তাজপুর বন্দর ও দেউচা পাচামি কোল ব্লকে বিনিয়োগ ইস্যু। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও ছিলেন। তাজপুর বন্দর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। বৈঠকের পর, আদানি পোর্টের দুই শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। তারপর, তাজপুর বন্দর প্রসঙ্গে করণ আদানি জানান, তাঁরা এখন পরিস্থিতির ‘মূল্যায়ন’ করছেন। আদানি পোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য এক আধিকারিক বলেন, আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। তাজপুর বন্দরের জন্য রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। সার্বিক মূল্যায়ন এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আরও ক’টা দিন গেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বিতীয় বৈঠক রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২ ডিসেম্বর আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর টুইট মারফত তিনি জানান, রাজ্যে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এবং এপ্রিলে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও তিনি আসবেন।
তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে। দেশ-বিদেশের চারটি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে সাইট ভিজিট সেরে ফেলেছেন। সংস্থাগুলি হল পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি, দুবাই পোর্ট, আদানি গ্রুপ ও জিন্দাল গ্রুপ। এছাড়াও প্রি-বিড মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিল এসার পোর্ট ও জেএম বক্সি সহ ছ’টি সংস্থা।ইতিমধ্যে এই বন্দর তৈরির জন্য সমুদ্র লাগোয়া ১০০ একর এবং সেখান থেকে চার কিমি দূরে এক হাজার একর জমি রাজ্যের হাতে রয়েছে। অতএব এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের কোনও প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের হলদিয়া ডকের দু’নম্বর বার্থের আধুনিকীকরণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ‘লেটার অব অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হল আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন লিমিটেডের হাতে। বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার এই সংক্রান্ত নথি তুলে দেন আদানি পোর্টের সিইও-র হাতে।
No comments