পুজোর আগের দিন অকাল বর্ষণে মন খারাপ স্কুলপড়ুয়া থেকে প্রতিমা শিল্পীহঠাৎ বৃষ্টি,থমকে খেল প্রতিমা বিক্রিরাত পোহালেই সরস্বতী পুজো।তার আগেই শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ বৃষ্টির জেরে থমকে গেল প্রতিমা বিক্রি।গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলে…
পুজোর আগের দিন অকাল বর্ষণে মন খারাপ স্কুলপড়ুয়া থেকে প্রতিমা শিল্পী
হঠাৎ বৃষ্টি,থমকে খেল প্রতিমা বিক্রি
রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো।তার আগেই শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ বৃষ্টির জেরে থমকে গেল প্রতিমা বিক্রি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজ খুলতেই অনেক আশা নিয়ে ঠাকুর তৈরি করছিল মৃৎশিল্পীরা।কিন্তু পুজোর আগের দিন দিনভর বৃষ্টির জেরে তা আর সম্ভব হল না।অর্ধেক প্রতিমা ফিরে গেল বাড়িতে।মন খারাপ হলদিয়ার চিত্রকর পাড়ার শিল্পীদের।হলদিয়া চৈতন্যপুরের মিলন চিত্রকর বলেন ছোট,বড় মিলিয়ে মোট ৬৫ টি প্রতিমা তৈরি করেছিলাম।প্রায় ৩৫-৪০ টি ঠাকুর বিক্রি হল না।ফের কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হল।পাঁচ-ছয় জন কারিগরি নিয়ে কয়েকদিন ধরে কাজ করছিলাম।তাদের কীভাবে টাকা দেবো বুঝে উঠতে পারছি না।একই ভাবে দেভোগের প্রবীণ মৃৎশিল্পী তপন ভৌমিকও শোনালেন দুঃখের কথা।সাত সকালে আবহাওয়া ভালো দেখে চোখে শেষ তুলির টান দিচ্ছিলেন।হঠাৎ সকাল ১০ টা নাগাদ কালো মেঘে ঢেকে গেল আকাশ,শুরু হল মূষলধারে বৃষ্টি।তড়িঘড়ি করে ঠাকুরে পলিথিন ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।তারপর আর কাজ করতে পারিনি।রাত পোহালেই পুজো।কিন্তু এখনো অর্ধেক কাজ বাকি।সঠিক সময়ে ঠাকুর ছাড়তে পারছি না।আর বিক্রিও হল না।গতবছর লক্ষীপুজোর মতোই বেশিরভাগ ঠাকুর বাড়িতেই পড়ে রইল।বৃহস্পতিবার স্কুল কলেজ খুলতেই হলদিয়ার চৈতন্যপুর,দূর্গাচক,টাউনশিপ মোড়ে ছাঁচের ঠাকুর বিক্রি শুরু হয়েছিল।চৈতন্যপুর চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা খোলা আকাশের নীচে প্রতিমা বিক্রি শুরু করেছিল।পুজোর আগেরদিন যখন প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে।এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টি।মন খারাপ করে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে যেতে হল অর্ধেক প্রতিমা।
No comments