হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল দশা শোকজ করা হল সুপারকেকোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যপরিসেবা একমাত্র মানুষের কাছে সম্বল। সেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় বেহাল দশা? তার ফলেই হাসপাতালে সুপারকে হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল দশার জন্য শোকজ করা হল। ঘটনা…
হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল দশা শোকজ করা হল সুপারকে
কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যপরিসেবা একমাত্র মানুষের কাছে সম্বল। সেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় বেহাল দশা? তার ফলেই হাসপাতালে সুপারকে হাসপাতালের পরিষেবার বেহাল দশার জন্য শোকজ করা হল। ঘটনা নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ।
'নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হলেও বাস্তবে স্পেশালিটির কোন নাম গন্ধই নেই।
হাসপাতালে ঢোকার মুখেই ইতিউতি ছড়ানো আবর্জনার স্তুপ। গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়েই এই ধরনের বর্জ্যের দেখা মিলবে। কয়েক বছর আগে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা খরচ করে এই হাসপাতাল গড়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুর দুটি স্বাস্থ্য জেলায় ভাগ করা হয়েছে। এই হাসপাতালটিকে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সদর হাসপাতাল হিসেবেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। নন্দীগ্রামের মানুষ ভেবেছিলেন, এবার চিকিৎসা পরিষেবায় বিপ্লব আসবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। নামে সুপার স্পেশালিটি হলেও আদতে এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা খুবই নিম্নমানের, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। ৩ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ৩ জন এনেসথেসিস বিশেষজ্ঞ থাকলেও প্রায়ই একগুচ্ছ রোগীকে প্রসূতি প্রসবের জন্য নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তাতেই চরম অসুবিধার মধ্যে পড়ে রোগীর পরিজনেরা।
' হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবে তেমন অস্ত্রোপচার হয় না বললেই চলে।। ৩ জন সার্জেন থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে অপারেশন হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আমপান ও যশের ফলে হাসপাতালের একাধিক অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। একটিমাত্র অপারেশন থিয়েটার চালু আছে । হাসপাতালের বেহাল দশা অক্সিজেন প্লান্টের চারপাশ।অক্সিজেন প্লান্টের চারপাশে নোংরা স্তুপ। তাই নামে সুপার স্পেশালিটি হলেও, আদতে প্রায় ধুঁকে ধুঁকে চলছে এই হাসপাতাল। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিটে আসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি।
হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কার্যকারিতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলাশাসক। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের সামনে
কোন গ্রুপের রক্ত কত পরিমানে আছে সাধারণের অবগতির জন্য ডিসপ্লে বোর্ডের কোন ব্যবস্থা নেই। জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র পেতে গেল হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নন্দীগ্রাম বাসিকে। হাসপাতালে অব্যবস্থার জন্য মঙ্গলবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপারআদিত্য কুমার মুদিকে শোকজ করেন। জেলাশাসকের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, আমপানের ফলে হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে ও ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামত করার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সুপারকে শোকজ করা হয়েছে।
No comments