Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রদীপ কুমার মাইতি, কলকাতা: তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসাবে নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপ…

 




বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


প্রদীপ কুমার মাইতি, কলকাতা: তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসাবে নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বুধবার  তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। সেখানেই চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত করা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি বাদে সাংগঠনিক নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে। যদিও বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁরা আসেননি। 


তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। তারপর তার স্ক্রুটিনি হয়। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে, এমনটাই জানান হয়েছিল।  তবে চেয়ারপার্সন পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই শুধু দাঁড়ানোর কথা। সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যানের মতো দেড় হাজার ডেলিগেট ভোট দেন। এই সাংগঠনিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে হাজির ছিলেন সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরাও।  


এদিন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করে, সুখ দুঃখ সব কিছু অতিক্রম করে। আজ এই জায়গায় তৃণমূল এসে দাঁড়িয়েছে।

বাংলায় তৃণমূলের উত্থান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। পরে আমরা দেখি দেশের অনেক জায়গায় ইউনিট তৈরি হচ্ছিল। তারপর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নাম বদলে দিই। কংগ্রেস যতদিন চলেছে ওদের পরম্পরা, ইউপিকে বেস করে, পণ্ডিত নেহরু। বিজেপির গুজরাত থেকে চলছে। আমাদের ওরিজিনাল জায়গা বেঙ্গল। সবাইকে পর্যবেক্ষক করে ডাকতে পারিনি, শীঘ্রই দেখা করব। আপনারা দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। বলুন, আগলে রাখব রাজ্যে দলটাকে। আপনি বিজেপিকে ভারত থেকে হঠান। ২০১৬ সালে কমিশনের স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা জাতীয় দল এখন। থ্যাঙ্কস।" 


তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, মার্চ পর্যন্ত সাংগঠনিক নির্বাচনের সময় ছিল, কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেই করে দিলাম। বাংলার ছেলেমেয়েদের হাতে অনেক কাজ এখন। নিজেকে বিশ্বাস রাখতে হবে। তৃণমূল করতে গেলে যে রাজ্যে যারা বিশিষ্ট, ভারত সম্পর্কে জানা দরকার, রাজ্য সম্পর্কেও জানতে হবে। তৃণমূল সম্পর্কেও জানতে হবে। আমি প্রত্যেকটা ঘটনা বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। অনেকেই এখনকার বামেদের অত্যাচারের কথা জানেন না। এখন ত্রিপুরায় অত্যাচার হচ্ছে, জেলে ঢোকানো হচ্ছে, গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। বাংলায় এর থেকে বেশি অত্যাচার সহ্য করেছি। তৃণমূল লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে একমাত্র। তৃণমূলের আরেক নাম সংগ্রাম, আন্দোলন। তৃণমূল মুখে নয়, কাজে বিশ্বাস করে। শুধু টাকায় চলছে বিজেপি, একটা পার্টি, তারা আমাদের মেন এনিমি। কংগ্রেস মেঘালয়, চণ্ডীগড়ে বিজেপির হয়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম, বিজেপি বিরোধীরা এক জায়গায় আসুক।? কিন্তু অহঙ্কার করে কেউ যদি বেসে থাকে, তাহলে একলা চলো। একটা করে ফুল গাঁথতে গাঁথতে মালা গেঁথে নেব। লড়তে তো হবে।"

No comments