Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

"আমি বাঁচতে চাই" হাত জোড় করে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আর্তনাদ কিডনি রোগে আক্রান্ত তমলুকের গনেশ মন্ডলের

"আমি বাঁচতে চাই" হাত জোড় করে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আর্তনাদ কিডনি রোগে আক্রান্ত তমলুকের গনেশ মন্ডলেরপ্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের হরিদাসপুরের টুল্যা গ্রামের ৪০বছর বয়সী গনেশ মন্ডল দীর্ঘ ৮ বছর ধ…

 




"আমি বাঁচতে চাই" হাত জোড় করে রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আর্তনাদ কিডনি রোগে আক্রান্ত তমলুকের গনেশ মন্ডলের

প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের হরিদাসপুরের টুল্যা গ্রামের ৪০বছর বয়সী গনেশ মন্ডল দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর দুটো কিডনি নষ্ট, যাঁর ফলে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচার কঠিন লড়াইটা সে চালিয়ে গেলেও আর্থিক সমস্যা তাঁর চিকিৎসার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় নাক মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে শুরু করলে তৎক্ষণাৎ তাকে তমলুকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কলকাতার নীলরতন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই টানা এগারো দিন চিকিৎসা চলাকালীন জানতে পারে গনেশ আইটিপি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যার চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তাঁকে যে ইনজেকশন দিতে হয় যাঁর এক একটার মূল্য প্রায় ১লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে সেই ইঞ্জেকশন নীলরতন হাসপাতাল এ সাপ্লাই না থাকার জন্য গনেশ মন্ডলকে স্বেচ্ছায় বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নীলরতন হাসপাতাল থেকে। যার ফলে নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় কিডনি আক্রান্ত অসুস্থ তমলুকের গনেশ মন্ডলকে। তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ওই ইঞ্জেকশন এর জন্য ছাড় মেলেনি কোথাও। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ 

মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর চিঠি নিয়ে এস এস কে এমে চিকিৎসার জন্য গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, গ্রাহ্য হয়নি মন্ত্রীর চিঠিও। তাঁর ফলে অসহায় বোধ করতে শুরু করে ওই পরিবার।

২০১৩ সালে গনেশের পরিবার জানতে পারে গনেশের দুটি কিডনিই নষ্ট। কলকাতার অ্যাপোলোতে চিকিৎসার পেছনে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়। এমনকি জমি সম্পত্তি বিক্রি করেও ওষুধ পত্র কেনাকাটা থেকে প্রতি সপ্তাহে ডায়োলোসিস করতে গিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাঁদের পরিবারের। চোখের জলে হাত জোড় করে বাঁচার তাগিদে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের টিমের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেন অসহায় গনেশ মন্ডল ও তাঁর পরিবার। 

সরকার যদি মুখ তুলে না থাকায় তবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঘোলে পড়তে হবে অসহায় পরিবারের গনেশ মন্ডলকে। আট বছরের ছেলে অরিত্র ও স্ত্রী বুল্টি মন্ডলকে নিয়ে সংসার তাঁর। তাঁদের কে দেখবে এমনই চিন্তাও গনেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে।

No comments