Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল বন্দর শহরে

কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল বন্দর শহরে
কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল বন্দর শহরে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহণের সুবিধের জন্য পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্…

 


কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল বন্দর শহরে


কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল বন্দর শহরে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহণের সুবিধের জন্য পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার দিয়ে জুড়ে ফেলা হবে হলদিয়ার নয়া মাল্টিমোডাল টার্মিনাল জেটি ও ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক। এজন্য হলদিয়া বন্দর ও শিল্প সংস্থাগুলির কাছে সহায়তা চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনএইচএআই। হলদিয়া বন্দর এলাকা থেকে নদীপথ ব্যবহার করে অন্তর্দেশীয় এবং বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশে পণ্য পরিবহণের খরচ কমাতে অভ্যন্তরীণ জলপথ ও উপকূলীয় জলপথে পণ্য চলাচলের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রক। নদীপথে পণ্য পরিবহণের জন্য হলদিয়া বন্দরের ঠিক পাশে পাতিখালি এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যেই মাল্টিমোডাল টার্মিনাল জেটি গড়ে তুলেছে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। 

হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ বন্দরের চিরঞ্জীবপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে মাল্টিমোডাল টার্মিনাল জেটি পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। এজন্য তারা বন্দর ও শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে সহায়তা চেয়েছে। এই ফ্লাইওভার তৈরি করতে আনুমানিক ৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে। ফ্লাইওভার গড়তে শিল্প সংস্থাগুলিকে অংশীদার হওয়ার আবেদন জানিয়েছে এনএইচএআই। স্যাটেলাইট ইমেজিং ম্যাপ দেখে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ কথা হয়েছে। ফ্লাইওভার তৈরির জন্য শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু হবে। জানা গিয়েছে, মূলত বন্দরের জমির উপর দিয়েই ফ্লাইওভার তৈরি হবে। রানিচক ফ্লাইওভারের একটি অংশ চিরঞ্জীবপুরে যেখানে শেষ হয়েছে, তারপর থেকেই নতুন ফ্লাইওভার শুরু হবে। দুর্গাচক রেলক্রশিং হনুমান মন্দির পেরিয়ে এই ফ্লাইওভার নামবে হিন্দলিভার রোডে। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ হবে নয়া ফ্লাইওভার। 

শিল্প সংস্থাগুলি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাচক রেলক্রশিং এলাকায় ফ্লাইওভারের দাবি রয়েছে। রেলক্রশিং থাকায় শিল্পাঞ্চলের পণ্য চলাচলে সমস্যা হয়। সেজন্য শুধু মাল্টিমোডাল টার্মিনাল জেটি নয়, কীভাবে ফ্লাইওভার তৈরি হলে শিল্প সংস্থাগুলির সুবিধে হবে সেবিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ কর্তৃপক্ষ তাদের পণ্য পরিবহণের সুবিধের জন্য এনএইচআইএ এবং বন্দরের সাহায্য চায়। তারপরই ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ, হলদিয়া থেকে নদীপথে উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটানে পণ্য পরিবহণের জন্য পাতিখালিতে বন্দরের দেওয়া ৩০ একর জমির উপর মাল্টিমোডাল টার্মিনাল জেটি তৈরি হয়েছে। গঙ্গানদীতে জাতীয় জলপথ ১ নম্বর ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে ২ নম্বর জলপথে এই জেটির মাধ্যমে হলদিয়া থেকে পণ্য যাবে বারাণসী ও গুয়াহাটিতে। 

জানা গিয়েছে, জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখানে চারটি জেটিতে বার্জ ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ করা হবে। কিছুদিনের মধ্যেই বার্জ অপারেশন শুরু হবে। তবে স্বয়ংক্রিয় অপারেশন শুরু হতে কিছুদিন সময় লাগবে। ওই জেটির মাধ্যমে বছরে লক্ষ লক্ষ টন পণ্য পরিবহণের আশা রয়েছে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ কর্তৃপক্ষের। সেজন্য ট্রেলারের মতো বড় গাড়িতে পণ্য পরিবহণের সুবিধার জন্য ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রভীনকুমার দাস বলেন, ভিআইপি রোড এবং গ্রিনবেল্ট ক্যানেলের উপর দিয়ে সম্ভাব্য ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে অনেকগুলি ভোজ্যতেলের সংস্থা রয়েছে। তাদের মূল বাজার উত্তরপূর্ব ভারত ও বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ওই এলাকায় প্রচুর স্টিলের বাণিজ্য হয়। ছোট ছোট বার্জ ভেসেলের মাধ্যমে সুন্দরবনের প্রোটোকল রুট দিয়ে এই পণ্য পৌঁছনো সহজ হবে। এতদিন ওইপথে শুধুমাত্র ফ্লাইঅ্যাশ পাঠানো হতো বাংলাদেশে।

No comments