পুরানো প্রেম ফিরে পাওয়া - সুনীতা পাত্র
দুজনের বাড়ি থেকেই বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। কেনাকাটা শেষের পথে। আয়োজনের ব্যস্ততা দুই বাড়ির বারান্দায়।
বিয়ের ঠিক দুদিন আগে রাত্রি পৌনে এগারোটায় তনিমা রহিতকে ফোনে পরের দিন দেখা করার অনুরোধ করলে রহি…
পুরানো প্রেম ফিরে পাওয়া - সুনীতা পাত্র
দুজনের বাড়ি থেকেই বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। কেনাকাটা শেষের পথে। আয়োজনের ব্যস্ততা দুই বাড়ির বারান্দায়।
বিয়ের ঠিক দুদিন আগে রাত্রি পৌনে এগারোটায় তনিমা রহিতকে ফোনে পরের দিন দেখা করার অনুরোধ করলে রহিত হাজার ব্যস্ততার মাঝেও রাজি হয়ে যায়।
- তনু কারণটা ফোনে বললে ভালো হত না?
- দেখা করাটা খুব দরকার।
-ঠিক আছে।
সময় মতো বিকেল চারটের সময় দুজনে দেখা করে প্রথম দিনের সেই পার্কে।
তনুর চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। ঠিক যেন বিয়ের ফুল ফোটার আগে ঝরে যাওয়ার মতো অবস্থা।
- বলো তনু কি এমন কথা দেখা করতেই হল। ফোনে বলা গেল না,আর ত্রিশ ঘন্টার মধ্যেই আমরা একে অপরের হয়ে যাবো। অঢেল সময় পড়ে আছে দুজনের মনের কথা বলার জন্য।
- রহিত বিয়েটা ক্যান্সিল করলে হত না?
- এটা কি বলছো তনু? একথা বলছো কেন?
- রহিত আমার খুব ভয় করছে। শুধু বারবার মনে হচ্ছে আবার ভুল করছি না তো? রাতের ঘুম চলে গেছে। তোমার বাবা মা সবাই আমাকে মেনে নেবে তো? চাকরিতে কোনো বাধা আসবে না তো?
- কেন এসব চিন্তা করছো আমার ওপর ভরসা রাখো তনু। কদিন ছুটি নিচ্ছো অফিস থেকে?
- চারদিন
তনু এক সপ্তাহের ছুটি নাও।
- কিন্তু কেন?
- আমি বলেছি তাই।
বিয়ের পর তনুর ছুটি শেষ। তনু বিয়ের পর অফিস যাবে (2-10)।সকাল থেকেই রহিত চিন্তিত তার মাকে নিয়ে,তনুকে অফিস যেতে দেবে কিনা,,,,
নিজেও অফিস যায়নি। যদিও তনুর হাতের রান্নার ভীষণ প্রশংসা করেছে মা। তনু এই কদিনেই বাড়ির সকলকে খুব আপন করে নিয়েছে। তাও জিজ্ঞাসা থেকেই যায় মনে।
তনু অফিস বেরিয়েছে আর সাথে রহিত,,,,,
- সন্তু তুই আর বৌমা কোথায় বেরোলি,,,,?
- মা তনু অফিস যাবে।
- আমি তো দেখতে গিয়েই না করে এসেছি।
- কিন্তু মা বোন চাকরি করে আর তুমিও তাহলে তনুকেই বা বারণ করা হবে কেন?
- সংসার সামলাবে কে? তাছাড়া তনু তো আর সরকারি চাকরি করে না,কোম্পানির চাকরি।
- মা ( রহিতের ভাই রীতের স্ত্রী) রুনা আছে তাছাড়া কাজের জন্য তো রীতা মাসি আছেই।
- রহিতের বাবাও একমত রহিতের সাথে।
ওদিকে তনু হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে সবার কথা শুনছে।
- আর তুমি যদি রাজি না হও তাহলে আমাকে অন্য পথ অবলম্বন করতে হবে।
সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ল রহিতের মায়ের উপর।
অবশেষে মাও রাজি হয়ে যায়।
সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে দুজনের পথচলা।তবে তনুর লক্ষ্যে আবার নতুন মোড় নিল সরকারি চাকরির চেষ্টায়।
No comments