Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনার মাদুলি’ বিক্রি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে!মাইক প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া সুতাহাটা বিজ্ঞান কেন্দ্র

করোনার মাদুলি’ বিক্রি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে!মাইক প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া সুতাহাটা বিজ্ঞান কেন্দ্র
হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ‘করোনার মাদুলি’ বিক্রি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সৈয়দ আব্দু…

 

করোনার মাদুলি’ বিক্রি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে!মাইক প্রচারে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ হলদিয়া সুতাহাটা বিজ্ঞান কেন্দ্র


হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ‘করোনার মাদুলি’ বিক্রি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সৈয়দ আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় গত দু’মাস ধরে ‘মন্ত্রপূত’ মাদুলি বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে বেপাত্তা সাতাত্তর বছরের ওই বৃদ্ধ। করোনার মাদুলি বিক্রেতার সন্ধানে এদিন সকাল থেকে সুতাহাটা থানার পুলিস ওই গ্রামে খোঁজ চালায়। তবে মাদুলি বিক্রেতাকে নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে সারা গ্রাম। দুপুর নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা এলাকায় পৌঁছলে তাঁদের নানা ধরনের কটূক্তি ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিকেল থেকে ব্লক প্রশাসন ও চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মাইকিং করা হয় রামচন্দ্রপুর ও আশপাশের গ্রামে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্লক প্রশাসন, থানা, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাকের ডগায় বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনার মাদুলি বিক্রি হলেও কারও নজরে আসেনি কেন! 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের উপর রীতিমতো সাইনবোর্ড টাঙিয়ে এবং মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার কথা বলে করোনার মাদুলি বিক্রি হচ্ছিল। ওই ব্যক্তির বাড়ি মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে গ্রামের মধ্যে। এক একটি করোনার মাদুলির দাম ১৫ হাজার টাকা। তবে গরিব মানুষ হলে তাঁকে ১০০ টাকায় দিতেন বলে ক্রেতাদের কাছে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। মাস দুয়েক আগে থেকে ওই ব্যক্তি এলাকায় করোনার মাদুলি বিক্রি শুরু করেন। তার আগে কোথাও এই জাতীয় মাদুলি বিক্রি করেছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই  রীতিমতো প্রচার করে বিভিন্ন ধরনের মাদুলি ও তাবিজ বিক্রি করছেন তিনি। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রামে মাদুলি বিক্রি করেন তিনি। এদিন ওই মাদুলি বিক্রেতার বাড়ির লোকজন কোনও কথা বলতে চাননি প্রশাসন বা বিজ্ঞান মঞ্চের লোকজনের কাছে।

বিজ্ঞান মঞ্চের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ সম্পাদক নকুল ঘাটি বলেন, প্রশাসন খবর পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি এখন গ্রামছাড়া রয়েছেন। পরিবার কিংবা গ্রামের কেউ এবিষয়ে তথ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন। তবে গ্রামে ঘুরে মাদুলিতে করোনা সারে না, এই বিষয়টি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কেউ এধরনের মাদুলি কিনেছেন কি না, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিডিও আসিফ আনসারি বলেন, ওই ব্যক্তির পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ব্লকে। আশা কর্মীদের মাধ্যমে গ্রামে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মাদুলির কুসংস্কার রুখতে এবং মানুষ যাতে না ঠকে যান, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সুতাহাটার বিএমওএইচ লক্ষ্মীকান্ত প্রামাণিক বলেন, বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের ঘটনা। আশা কর্মীদের এবিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি। প্রসঙ্গত, সুতাহাটা ও হলদিয়ার বিভিন্ন গ্রামে কিছুদিন ধরে চাঁদা চাওয়ার নাম করে তার আড়ালে একদল লোক গিয়ে মাদুলি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত তারা দুপুর নাগাদ বয়স্ক লোকজন রয়েছে এমন বাড়িতে হানা দিচ্ছে। ওই টিমে তারা স্থানীয় পরিচিত লোকজনকেও রাখছে। হলদিয়া পুরসভার চকদ্বীপা গ্রাম এভাবে মাদুলি বিক্রির নাম করে কয়েকটি বাড়ি থেকে ৫০০-২০০০ টাকা নিয়ে তারা পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

No comments