জেলার বিজেপি বিধায়করা রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষকে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন। শনিবার হলদিয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, জেলার যে সমস্ত বিধানসভা কেন্…
জেলার বিজেপি বিধায়করা রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা করছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষকে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।
শনিবার হলদিয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, জেলার যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে, সেখানে পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে বলেই মানুষের কথা নিয়মিত শোনার জন্য অফিস চালু হচ্ছে। নিয়ম করে শাসকদলের মন্ত্রী ও বিধায়করা সেখানে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর পাখির চোখ হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। কারণ, সারা দেশ ও পৃথিবীর চোখ হলদিয়ার দিকে রয়েছে। সেই জন্য হলদিয়ায় কোনও সমস্যা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে এবং সরকার বা দলের নজরে আনতে হবে। এই লক্ষ্যেই এবার থেকে সপ্তাহে একদিন নিয়মিতভাবে হলদিয়ায় আমআদমির কথা শোনার জন্য অফিস চালু হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের মানুষের বা সংস্থার প্রতিনিধিদের বক্তব্য, সমস্যা ও দাবিদাওয়া শোনার জন্য হলদিয়া পুরসভা অফিসে বসবেন মন্ত্রী। এজন্য পুরসভার দ্বিতলে এগজিকিউটিভ অফিস এরিয়ায় একটি রুম বরাদ্দ হয়েছে। সেই রুমের বাইরে বসেছে মন্ত্রীর নেমপ্লেট। প্রতি শনিবার দুপুর থেকে ওই অফিসে বসবেন মন্ত্রী। এদিন মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার ইউনিয়নের নেতা-কর্মী, পুরকর্মীরা ভিড় করেন। মন্ত্রীকে স্বাগত জানান পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল। বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, পড়ুয়াদের স্কলারশিপ সহ বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে বিধায়কের সই প্রয়োজন হয়। সেই জন্য হলদিয়ার অনেকেই মহিষাদল কিংবা তমলুক ছুটে যান শাসকদলের বিধায়কদের কাছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তমলুক সাংগঠনিক জেলার মধ্যে যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেখানে গিয়ে এই পরিষেবা দেব।
সৌমেনবাবু বলেন, এদিন আদানি ও এক্সাইড শিল্প সংস্থার শ্রমিক প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে দেখা করেন। দু’টি কারখানাতেই বেতন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। তা যথাযথ স্থানে জানাব। হলদিয়ার পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই পিডব্লুডি ও পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজ্যের বিভাগীয় মন্ত্রীদের কাছে এলাকার দাবিগুলি তুলে ধরে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তিনি আরও বলেন, হলদিয়ায় সংঘাতের কোনও জায়গা নেই। সামান্য সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সেই কাজটি করার জন্যই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
No comments