১৭ দিন আর নয়, এবার সাতদিনেই ‘গৃহবন্দিত্ব’ থেকে মুক্তি পাবেন কোভিড রোগীরা১৭ দিন আর নয়, এবার সাতদিনেই ‘গৃহবন্দিত্ব’ থেকে মুক্তি পাবেন কোভিড রোগীরা। মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভ রোগীদের হোম আইসোলেশন দশার সময়সীমা কমি…
১৭ দিন আর নয়, এবার সাতদিনেই ‘গৃহবন্দিত্ব’ থেকে মুক্তি পাবেন কোভিড রোগীরা
১৭ দিন আর নয়, এবার সাতদিনেই ‘গৃহবন্দিত্ব’ থেকে মুক্তি পাবেন কোভিড রোগীরা। মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভ রোগীদের হোম আইসোলেশন দশার সময়সীমা কমিয়ে দিল কেন্দ্রই। এই সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসার সাতদিন পরই আক্রান্তরা বাড়ির বাইরে বেরতে পারেন। তবে দেখতে হবে, শেষ তিনদিন যেন গায়ে জ্বর না থাকে। সেক্ষেত্রে সাতদিন পর নতুন করে আর টেস্ট করানোরও প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকাকে মান্যতা দিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য সরকারও। অর্থাৎ, সাতদিনের হোম আইসোলেশনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে বাংলাতেও। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী—সকলকেই মানতে হবে এক নিয়ম।এক সপ্তাহে দেশে সংক্রমণ বেড়েছে ছ’গুণেরও বেশি। ১ জানুয়ারি গোটা দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৭ হাজার ৫৫৩। আর গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ৯৭। কলকাতা সহ দেশের আটটি জেলা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও আইসোলেশনের সময়সীমা কমানোর কারণ কী? কোভিড সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির চেয়ারম্যান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডাঃ বিনোদকুমার পল এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সংক্রমণ বাড়লেও এটি তৃতীয় ঢেউ নয়। গ্রামাঞ্চলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট নেই। যতটুকু সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা বড় শহরগুলিতে। তাই ভয়ের কিছুই নেই।’ এইমসের এই চিকিৎসকের পরামর্শ, স্রেফ কোভিড বিধিতে জোর দিন। মাস্ক পরুন। অহেতুক ভিড় এড়ান। আর সময় মতো ভ্যাকসিন নিন। কারণ, টিকাই করোনা আক্রান্তদের বাড়াবাড়ি ঠেকাতে পারে। রুখতে পারে মৃত্যু। পাশাপাশি কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সোমবার, ১০ জানুয়ারি থেকে ষাটোর্ধ্ব কো-মরবিডদের জন্য শুরু হতে যাওয়া বুস্টার ডোজে একই ব্র্যান্ডের টিকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ আগে দু’টি ডোজ কোভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে তৃতীয়টিও কোভ্যাকসিনই নিতে হবে। এছাড়াও ১৮-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের ৯০.৮ শতাংশের প্রথম ডোজ এবং ৬৫.৯ শতাংশের ডবল ডোজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। আর মাত্র তিনদিনেই অনূর্ধ্ব-১৮ টিকাকরণ পেরিয়ে গিয়েছে ১ কোটির মাইল ফলক।
অন্যদিকে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে দ্রুত চিহ্নিত করতে আইসিএমআর এবং টাটা এমডি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে বিশেষ আরটিপিসিআর কিট। এর মাধ্যমে চার ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে রেজাল্ট। এখন শুধু জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই এই ফল পাওয়া যায়। সময়ও লাগে বেশি। তাই আরটিপিসিআরে দ্রুত ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হলে সংক্রমণের গতি বাগে আনা যাবে বলেই জানিয়েছেন আইসিএমআরের ডিজি ডাঃ বলরাম ভাগর্ব।
No comments