আজ থেকে শুরু হচ্ছে সারা দেশজুড়ে প্রতীক্ষিত বুস্টার ডোজ
সোমবার দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত বুস্টার বা করোনার তৃতীয় ডোজের টিকাকরণ কর্মসূচি। দেড় লক্ষাধিক দৈনিক সংক্রমণের মধ্যেই এদিন বুস্টার ডোজ নেবেন ষাটোর্ধ্ব কো-মরব…
আজ থেকে শুরু হচ্ছে সারা দেশজুড়ে প্রতীক্ষিত বুস্টার ডোজ
সোমবার দেশজুড়ে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত বুস্টার বা করোনার তৃতীয় ডোজের টিকাকরণ কর্মসূচি। দেড় লক্ষাধিক দৈনিক সংক্রমণের মধ্যেই এদিন বুস্টার ডোজ নেবেন ষাটোর্ধ্ব কো-মরবিড এবং প্রত্যক্ষ করোনা যোদ্ধারা। ইতিমধ্যেই বুস্টার নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেশের এক কোটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সরকারের মেসেজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এই দফায় দেশের ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ১৪ হাজার নাগরিককে ভ্যাকসিনের এই বুস্টার বা প্রিকশান ডোজ দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটি ২২ লক্ষ ৯ হাজার ৬০০ জন। ৩৯ সপ্তাহ আগে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাঁরাই পাবেন বুস্টার ডোজ। ইতিমধ্যেই টিকা নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়ে নাম নথিভুক্তি শুরু হয়েছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, কোভিশিল্ড তো বটেই, দেশীয় কোভ্যাকসিনও বুস্টার হিসেবে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকরী। এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে রিভিউ বৈঠক করেন। জেলা স্তরে নজরদারিতে জোর দিয়েছেন তিনি। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড বৈঠক করবেন বলেও জানান মোদি।
এরপরও অবশ্য দেশের তাবৎ বিজ্ঞানী ও গবেষকরা মনে করছেন, সচেতনতার থেকে উপযোগী ওষুধ এখনও কিছু নেই। এমনকী এন-৯৫ মাস্কই পরতে হবে—এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণ মাস্কই আটকাতে পারে ওমিক্রন। রবিবার এমন আশ্বাসই দিলেন আইসিএমআরের এডিজি ডাঃ সমীরণ পান্ডা। প্রতিষ্ঠানের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘ডেল্টার থেকে তিনগুণ বেশি হারে সংক্রমণে সক্ষম করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। অনেককেই বলতে শুনছি, একমাত্র এন-৯৫ মাস্কই নাকি আটকাতে পারে সংক্রমণ। এটা ঠিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘গবেষণার ভিত্তিতে বলছি, ব্যবসায়ী মহলের একাংশের প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সাধারণ মাস্কই যথেষ্ট। স্রেফ পরতে হবে সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে। পরা অবস্থায় বারবার মাস্কে হাত দেবেন না। দিলেও আগে হাত ধুয়ে নেবেন। মাস্ক বারবার খোলা-পরা করবেন না। একই মাস্কই দিনের পর দিন ব্যবহার না করাই ভালো। কাপড়ের মাস্ক হলে গরম জলে কেচে শুকিয়ে ফের পরা যায়। তবে যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী এবং কোভিডের হাই রিস্ক জোনে ঘোরাফেরা করেন, তাঁদের জন্য মেডিক্যাল অথবা রেসপিরেটর মাস্কই জরুরি।’
বাস বা ট্রেনের মতো গণপরিবহণে দু’গজ দূরত্ব বজায় রাখা যে কঠিন, সে কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘তাই মাস্কই একমাত্র ঢাল। সমীক্ষা বলছে, কোভিড সংক্রমণের গোড়াতেই মাস্ক আবশ্যিক করলে আমেরিকায় কমপক্ষে ৪৯ হাজার মানুষের মৃত্যু আটকানো যেত। কানাডার সাপ্তাহিক সংক্রমণ ২৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে মাস্কেই।’
No comments