চরৈবেতি- শান্তা লতা বিশয়ী সাহা
বৃষ্টি ভেজা মেঘলা দিন।উদাসী হাওয়ার সাথে মন কেমনের গন্ধেসদাই বাজে এক অন্তর্লীন জলতরঙ্গ।তারই ভিতর চেয়ে দেখি-হু হু করে ছুটে যাওয়া মাঠ ঘাটেক্লান্তিহীন চরৈবেতির মন্ত্রযাপন,যতবার আমি খুলে খুলে দেখিপড়ে ফেল…
চরৈবেতি- শান্তা লতা বিশয়ী সাহা
বৃষ্টি ভেজা মেঘলা দিন।
উদাসী হাওয়ার সাথে মন কেমনের গন্ধে
সদাই বাজে এক অন্তর্লীন জলতরঙ্গ।
তারই ভিতর চেয়ে দেখি-
হু হু করে ছুটে যাওয়া মাঠ ঘাটে
ক্লান্তিহীন চরৈবেতির মন্ত্রযাপন,
যতবার আমি খুলে খুলে দেখি
পড়ে ফেলা প্রিয়তর বই'এর পাতা,
ততবার সে নতুন করে দ্বার খুলে দিয়ে যায়
সপ্রাণ সবুজ পৃথিবীর মতো।
প্রাণের আবেগ আছে বলেই না আমার
অপাঙতেয় শালুকভরা নয়নাঞ্জলী আছে!
মাঝি-মল্লারদের অলস সাঁতার আছে-
চাষের ক্ষেতে সপ্রতিভ দুপুর আছে-
সবুজ ফসলের বুকে সুর করা দোলন আছে-
নরম ঘাসের আগায় শিশিরভেজা কোমল স্পর্শ আছে।
ক্লান্ত বিকেলে-
যখন ঘরে ফেরার গান বেজে উঠে,
তখনও আমি উন্মুখ হয়ে রই ইপ্সিত আসনখানির জন্য।
সদ্য গড়িয়ে পড়া সন্ধ্যায় ঝলমলে আলোর শহরে কিম্বা-
দূরের নিঝুম আলোয় হাই' তোলা কোন গ্রামে,
যেখানে নিয়ন আলোর চেয়ে প্রদীপের মায়াবী উষ্ণতায় ঝরে যতো ক্লান্তি অবসাদ।
যেটুকু বিষণ্ণতা পড়ে থাকে-
হয়তো হঠাৎ করে জন্ম নেয় কোন কবিতার ভ্রূণ, কিম্বা-
চকিতে দেখা আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা
শ্রাবস্তীর কারুকার্যময় গল্পের কোন রবাহূত নারী।
সরে যাওয়া স্মৃতি ঘাই' মেরে যায় গোপন মনের নিভৃত নিকেতনে।
তারপর......
অতৃপ্ত সুখ নিয়ে আবারও হাঁটতে থাকি
ঠিকানা লেখা কোন ঘরের পথে।
অপূর্ব কবিতা
ReplyDelete