Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে

মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পুলিশের হাতেদিঘায় আত্মহত্যা জলে গেল! মা ‘উধাও’, মেয়ে পড়ল পুলিশের হাতে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সৈকত শহর দিঘার সমুদ্র এখন নির্জন। চারপাশে নেই কোলাহল। নেই কোনও পর্যটকের ভিড়। করোনার জেরে এখন পুরোই নীরবতা…

 


মা ও মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে

দিঘায় আত্মহত্যা জলে গেল! মা ‘উধাও’, মেয়ে পড়ল পুলিশের হাতে


পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সৈকত শহর দিঘার সমুদ্র এখন নির্জন। চারপাশে নেই কোলাহল। নেই কোনও পর্যটকের ভিড়। করোনার জেরে এখন পুরোই নীরবতা। কিন্তু এই নির্জন দিঘাতেই  ঘটে গেল এক অদ্ভূত ঘটনা। আত্মহত্যা করতে এসে মা ও মেয়ে হলেন পুলিশে হাতে পাকড়াও। সুযোগ বুঝে মা চম্পট দিলেও আটকা পড়ে যায় মেয়ে। পরে উদ্ধার করে তাদের নিয়ে আসা হয় দিঘা থানায়।

জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই জলে ডুবে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ওঁরা। তবে লুনিয়া আর পুলিশের তৎপরতায় আটকানো গেল তাঁদের। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার নাম পুষ্প দাস অধিকারী (৩৮) শ্বশুরবাড়ি দেপালে। আর বাপের বাড়ি এগরা থানার কসবাগোলা গ্রামে। জানা গিয়েছে, গত আট বছর ধরে এই মহিলা শ্বশুর বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। মা ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন বাপের বাড়িতেই। তবে বাকি ভাইরা প্রত্যেকেই কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। জানা গিয়েছে, বাপের বাড়িতেও খুব একটা ভালো ছিলেন না পুস্পদেবী। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল তাঁদের।এরপর সেই সকল অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে আজ পুষ্পদেবী ও তার মা ঠিক করেন দিঘার সমুদ্রে আত্মহত্যা করবেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সমুদ্র সৈকতে চলেও এসেছিলেন তাঁরা। করোনার কারণে এমনই ফাঁকা সমুদ্র সৈকত। ফলত, সেই সুযোগ নিলেন মা ও মেয়ে। নিউ দিঘার ক্ষণিকা ঘাট নির্জন দেখে পুস্পা দেবী ও তার মা দু’জন আত্মহত্যা করতে সমুদ্রে নেমে যায় বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে ওই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ ও লুনিয়াদের তৎপরতায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে সমুদ্র থেকে। কিন্তু পুস্পাদেবীর মা সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় এলাকা থেকে। পরে খবর পেয়ে দিঘা থানার পুলিশ মহিলাকে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দিঘা থানা।সূত্রের খবর, পুষ্পদেবীর আঠেরো বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। স্বামী একটি বিস্কুট বেকারীর কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি কী করেন তা জানতে পারা যায়নি।

No comments