Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হলদিয়ায়

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হলদিয়ায়

 শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর নতুন নয়। জেলায়-জেলায় একাধিকবার এই খবরই ফুটে উঠেছে। ফের একবার হলদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের মন্ত্রী বনাম দলের সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে বচসা। যার জেরে হাতা…

 


ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হলদিয়ায়



 শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবর নতুন নয়। জেলায়-জেলায় একাধিকবার এই খবরই ফুটে উঠেছে। ফের একবার হলদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের মন্ত্রী বনাম দলের সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে বচসা। যার জেরে হাতাহাতি, মারধর ও বাড়ি ভাঙচুর। আহত তৃণমূল কর্মী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কয়েকদিন আগেই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন ঘটনা শুরু। হলদিয়া থানার অন্তর্গত টাউনশীপ ফাঁড়ি পৌর এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর অনুগামী বলে পরিচিত কঙ্কন ভুঁইয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠল।

সূত্রের খবর, প্রথমে শনিবার রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা চালায় কেউ ওই কর্মীর বাড়িতে। তারপর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর রবিবার সকালে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন কঙ্কনবাবু। অভিযোগ, সেই সময় হামলা চালানো হয় তার উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় কঙ্কন বাবুকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কঙ্কন ভুঁইয়ার স্ত্রী প্রভাতি ভুঁইয়া জানান, ‘ শনিবার রাতের অন্ধকারে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। এদেরকে একসময় তৃণমূলের জেলা সভাপতির সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই সব লোকই এই হামলার পেছনে রয়েছে। ওরা মোটর বাইক নিয়ে এসেছিল। যদিও থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এখনো সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর করেনি পুলিশ।” ছেলে বাপন ভুঁইয়ার অভিযোগ, ‘আমরা তৃণমূলের পুরোনো সৈনিক। দীর্ঘদিন দল করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্তমান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই। বাবার মুখে শুনেছি বিদ্যাধর মান্না,মদন সামন্ত,সৌম্যন দাস, গৌরাঙ্গ ঘোড়াই সহ বেশ কিছু দুষ্কৃতী আমার বাবাকে মারধর করেছে এবং বাড়ি ভাঙচুরের পেছনে রয়েছে। এরা সকলেই জেলা সভাপতি দেবপ্রাসাদ মণ্ডলের তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগামী।

যদিও, সুযোগ বুঝে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের রাস কার হাতে থাকে তার দৃশ্য সরূপ আমরা দেখলাম কদিন আগে হলদিয়ার কারখানার গেটে শ্রমিক বিক্ষোভ। আর প্রতিনিয়ত গোষ্ঠী কোন্দল চলছে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং জেলা সভাপতি দেবপ্রাসাদ মণ্ডলের ভিতরে। নিজেদের মধ্যে ওরা খাওয়া-খাওয়ি করেই শেষের পথে। ভাগ বখরা কার হাতে থাকবে বা কে বেশি কাটমানি খাবে সেই বিষয়ে নিয়েই মারপিট ওদের এবং অনুগামীদের মধ্যে।”

যদিও সমগ্র ঘটনা নিয়ে জেলা সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোন ধরেননি দেবপ্রাসাদ মণ্ডল। অন্যদিকে, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

No comments