কোভিড তাড়াতে,বিজ্ঞানের যুগে মাদুলিতে করোনা মুক্তপ্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জন্য সাধারণ মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বহু আত্মীয়-স্বজন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরেও তাদের পরিবার…
কোভিড তাড়াতে,বিজ্ঞানের যুগে মাদুলিতে করোনা মুক্ত
প্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জন্য সাধারণ মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বহু আত্মীয়-স্বজন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরেও তাদের পরিবারকে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তির দেহ দেওয়া হয়নি। গ্রামের কুসংস্কারের জন্য গ্রামের শ্মশানে অথবা কবরস্থানে তাদেরকে সৎকার করতে দেওয়া হয়নি ।পুলিশ অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে তাদেরকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে সৎকার করা হয়েছে। ২০১৯ থেকে কোভিডের বিভিন্ন পর্যায়ে ভাইরাস ছোট থেকে বড় আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলকেই আক্রমণ করেছে। তার ফলে মানুষ এখন ভয়ে ভয়ে বেরোচ্ছে ।সরকার বিভিন্ন সময়ে লকডাউন কোভিদ বিধি মেনে চলার জন্য বিভিন্নভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন বাস, ট্রেন, বিমান পরিসেবা বন্ধ ছিল। তার ফলে ক্ষতি হয়েছে সরকারের বহু কোটি টাকা তার মধ্যেই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিভিন্ন সময়ে তারা গবেষণা চালিয়েছেন এই কোভিড মুক্ত করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। যদিও এখন আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন এবং অনেকগুলি জায়গাকে কনটেন্ট ম্যান জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতি প্রযুক্তির সাথে সাথে সম্প্রতি করোনা নিয়ে নানাবিধ বিধি নিষেধ।
তার মধ্যে রমরমিয়ে চলছে করোনার তাবিজ। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পনগরী হলদিয়ায় সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি অন্তর্গত রাম চন্দ্র পুর দেখা গেল সেই দৃশ্য।
মহামারি করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে এবার ময়দানে মাদুলি বাবা।
জড়ি জটকার মন্ত্রে করোনা উধাও করেন তিনি।
তবে কি এবার তাবিজ বাবার আহ্বানে করোনা বাবাজি কেল্লাফতে হবে। এমন কুসংস্কার দেখা গেল হলদিয়ার বুকে। যা নিয়ে রটেই চলেছে এক কুসংস্কার।তবে মাদুলি বাবা নিজের কাজে সম্পূর্ন বিশ্বাসী। তাই তিনি তাঁর মাদুলি বিক্রিতে অনড় রয়েছেন একপ্রকার। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ সুতাহাটা হলদিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানকর্মী এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনীন্দ্রনাথ গায়েন ও নকুল চন্দ্র ঘাঁটি দাবি করলেন কোনদিনই সম্ভব নয়। তাবিজ মাদুলি নিয়ে করোনা হবে না।ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলেন। সাধারণ মানুষ তাবিজ মাদুলি না নেন। যারা এখনও পাননি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সেই কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন । সুতাহাটা রামচন্দ্র পুর গ্রামে কাদের মিঞা তিনি দাবি করেন বিভিন্ন জায়গায় তিনি তাবিজ মাদুলি বিক্রি করেছেন ।করোনা মুক্ত করার জন্য তেল পড়া এবং মাদুলি দিলেই করোনা মুক্ত হবে সেই বাড়ি। যদিও কাদের মিঞা পলাতক।
No comments