Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জাতীয় হেল্থ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক স্তরে তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জাতীয় হেল্থ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক স্তরে তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জাতীয় হেল্থ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক স্তরে তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু, ম…

 

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জাতীয় হেল্থ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক স্তরে তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি

 রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জাতীয় হেল্থ মিশনের যৌথ উদ্যোগে ব্লক স্তরে তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরি। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন পতঙ্গবাহী এবং সংক্রমক রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে। এতদিন জেলাস্তরে এইধরনের ল্যাব থাকত। রাজ্যে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবার জেলা থেকে বিকেন্দ্রীকরণ করে ব্লক এলাকায় তৈরি হচ্ছে পাবলিক হেল্থ ল্যাব। এজন্য ৪৪কোটি টাকা খরচে রাজ্যে প্রথম দফায় ৮৬টি ব্লক প্রাইমারি হেল্থ ইউনিট(বিপিএইচইউ) তৈরি হবে। পূর্ব মেদিনীপুরে দুটি স্বাস্থ্য জেলায় ৩কোটি ১২লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এধরনের ৬টি বিপিএইচইউ। প্রতিটি হেল্থ ইউনিটের জন্য ৫২লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। দোতলা এই হেল্থ ইউনিটেই গড়ে উঠবে পাবলিক হেল্থ ল্যাবের যাবতীয় ব্যবস্থা। 

পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ব্লকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ব্লক প্রাইমারি হেল্থ ইউনিট নামে এবার একটি স্বতন্ত্র পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। ফিফটিনথ ফিনান্স কমিশন থেকে এই তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ল্যাবে রোগীর নয়, রোগের কারণ নির্ণয়ে পরীক্ষা করা হবে। এতদিন মূলত জেলায় এই ধরনের ল্যাব থাকত। ব্লক স্তরে এই ল্যাব তৈরি হলে সেই এলাকায় দিন দিন মশা, মাছির যে চরিত্রগত বা জিনগত যে পরিবর্তন হচ্ছে, তা দ্রুত পরীক্ষা করা সুবিধে হবে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়ার মতো জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে সমস্ত রোগভোগ, তার পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার জন্য এই ল্যাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এখানে ল্যাবের পাশাপাশি হাসপাতাল সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিসংখ্যান রাখার স্টাফদের একটি ইউনিট এবং একজন এনটেমোলজিস্ট কনসালটেন্ট বসবেন।

চিকিৎসকরা জানান, এলাকায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হলে কোন অরগানিজম সেজন্য দায়ী তা জানতে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়। কারণ নমুনা সংগ্রহের পর সেটি জেলার পাবলিক হেল্থ ল্যাবে পাঠানো হয়, রিপোর্ট এলে সঠিক ওষুধ দেওয়া যায়। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণে সময় চলে যায়। ব্লকে ল্যাব হলে স্থানীয়ভাবে কয়েকজন নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত পরীক্ষা করে রোগ প্রতিরোধে সুবিধে হবে। ব্লক প্রাইমারি হেল্থ ইউনিট গড়ে উঠলে অ্যানুয়াল রিভিউ অব কমপিটেন্সি প্রোগ্রেশনের(এআরসিপি) অধীনে ব্লকে ব্লকে যে ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা সেটি অনেক শক্তিশালী হবে। রোগীদের যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা নির্ধারিত মান অনুযায়ী সুরক্ষিত ও গুণমান সমৃদ্ধ কি না তা প্রতিবছর এআরসিপি অর্থাৎ পর্যালোচনা ব্যবস্থা মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। সেক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসকদের হাতের কাছে আধুনিক জনস্বাস্থ্য ল্যাব থাকলে চিকিৎসার গুণমান আরও বাড়বে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। 

জানা গিয়েছে, ফিফটিনথ ফিনান্স কমিশনের হেল্থ গ্র্যান্ট হিসেবে ২০২১-২২অর্থ বর্ষে রাজ্যে ৮৬টি বিপিএইচইউ গড়ার জন্য ৪৪কোটি ৭২লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ ২৪পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে ৬টি করে বিপিএইচইউ তৈরি হবে। পুরুলিয়া ও হুগলিতে তৈরি হবে ৫টি করে। বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া ও মালদায় ৪টি করে বিপিএইচইউ তৈরি হবে। সবচেয়ে বেশি ৮টি বিপিএইচইউ তৈরি হবে মুর্শিদাবাদে। পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য জেলার তমলুকের অনন্তপুর, মহিষাদলের বাসুলিয়া, শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকে জানুবসান, এগরা ২ব্লকের গঙ্গাধরবাড় এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার কাঁথির রামনগর ২ব্লকের বড়রাঙ্কুয়া এবং চণ্ডীপুরের এড়াশালে মোট ৬টি বিপিএইচইউ তৈরি হবে। বিপিএইচইউগুলিতে আলাদা করে বায়োকেম ল্যাব, ইনফেকশাস ডিজিজ ল্যাব, আইসিটিসি অর্থাৎ এইডস পরীক্ষা ল্যাব থাকবে।

No comments