ফের দীঘায় কাঁকড়া ভাজা খেয়ে যুবতীর মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসনবিজ্ঞাপন
দীঘার সৈকতে কাঁকড়া ভাজা খেয়ে রামপুরহাটের যুবতীর মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল ব্লক প্রশাসন। সৈকতে যে রংমিশ্রিত মাছ ও কাঁকড়া ভাজা বিক্রি হয়, তা স্বাস্থ্য…
ফের দীঘায় কাঁকড়া ভাজা খেয়ে যুবতীর মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
বিজ্ঞাপন
দীঘার সৈকতে কাঁকড়া ভাজা খেয়ে রামপুরহাটের যুবতীর মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল ব্লক প্রশাসন। সৈকতে যে রংমিশ্রিত মাছ ও কাঁকড়া ভাজা বিক্রি হয়, তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা হচ্ছে কি না, বিক্রির ক্ষেত্রে কতটা সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে, সেব্যাপারে খুব শীঘ্রই ব্লক প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে নিয়ে অভিযান চালাবে। শনিবার রামনগর-১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় একথা জানান।
বিজ্ঞাপন
এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দীঘার সৈকতে স্টলে খোলা জায়গায় রংমিশ্রিত মাছ ভাজা ও কাঁকড়া ভাজা বিক্রি করেন। ওল্ড দীঘা থেকে নিউ দীঘা পর্যন্ত এরকম শতাধিক দোকান রয়েছে। দেখতে লোভনীয় হলেও অধিকাংশ খাবার অস্বাস্থ্যকর বলেই চিকিৎসকদের দাবি।
বিজ্ঞাপন
কারণ এগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। এমনকী, অতিরিক্ত লাভের আশায় দোকানদাররা বিষাক্ত প্রজাতির কাঁকড়া ভেজে পর্যটকদের খাওয়ান, এমন অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে, সামুদ্রিক মাছও রং মাখিয়ে বিক্রি করা হয়। শুধু দেখতে লোভনীয় বলেই অনেক পর্যটক এসব কিনে খান। তবে তার মাশুলও গুনতে হয়। এসব খেয়ে মাঝেমধ্যেই পর্যটকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক মাসের মধ্যেই দীঘার সৈকতে কাঁকড়া ভাজা খেয়ে দু’জন কমবয়সি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে আরও দু’জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সেসময় প্রশাসনিক অভিযানের ফলে কিছুদিন এসব বিক্রি বন্ধ থাকলেও ফের সৈকতে জোরকদমে মাছভাজা ও কাঁকড়া ভাজা বিক্রি শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে তা দেখার জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও নজরদারি নেই বললেই চলে। দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সন্দীপ বাগ বলেন, যাঁদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে তাঁদের সামুদ্রিক কাঁকড়া খাওয়া উচিতই নয়। খুব তাড়াতাড়ি বিষক্রিয়া হয়ে যায়। বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যুও হতে পারে। যেমন পরপর দু’জনের মৃত্যু হল। সৈকতে যে মাছভাজা ও কাঁকড়া ভাজা বিক্রি হয় সেগুলি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এব্যাপারে বিডিও বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্যদপ্তর ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরকে নিয়ে দীঘাজুড়ে ওই সমস্ত দোকানে অভিযান চালাব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব খাবার বিক্রি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। এসবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। অনিয়ম ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments