Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি নামের তালিকা প্রকাশে বিদ্রোহ চরমে

বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি নামের তালিকা প্রকাশে বিদ্রোহ চরমে
 শনিবারই বঙ্গ পার্টির ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারণ করা হয়। তার জেরে সংগঠনে ও পরিষদীয় পরিসরে বিদ্রোহ চরমে। নবগঠিত রাজ্য কমিটি নিয়ে ক্ষোভের আগুন আগেই জ্বলেছিল পদ্ম …

 


বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি নামের তালিকা প্রকাশে বিদ্রোহ চরমে


 শনিবারই বঙ্গ পার্টির ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারণ করা হয়। তার জেরে সংগঠনে ও পরিষদীয় পরিসরে বিদ্রোহ চরমে। নবগঠিত রাজ্য কমিটি নিয়ে ক্ষোভের আগুন আগেই জ্বলেছিল পদ্ম শিবিরে। এবার জেলা সভাপতি বদল তাতে কার্যত ঘৃতাহুতি দেয়। শীর্ষ রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দলের ‘অফিসিয়াল হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ’ ত্যাগ করেন পাঁচ-পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ক। রাজ্য কমিটিতে থাকা একাধিক হেভিওয়েট নেতাও মৌখিকভাবে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। আগামী দিনে পার্টিতে থাকবেন কি না, সেই চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। অপসারিত জেলা সভাপতিদের একটা বড় অংশও ক্ষেপে লাল। তাঁদের বক্তব্য, ‘বিধানসভা ভোটের পর থেকে জেলায় জেলায় তৃণমূলের আক্রমণের শিকার হলাম। বড়দিনে রাজ্য নেতারা তারই উপহার দিল।’ বিজেপি সূত্রের খবর, অশোক কীর্তনিয়া, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, মুকুটমণি অধিকারী—এই পাঁচ বিজেপি বিধায়ক এদিন জেলা সভাপতি বদলের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন


সেকথা স্বীকার করেছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছি। শুনেছি আমার মতো বহু বিধায়ক ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাও গ্রুপ ত্যাগ করেছেন।’ কিন্তু কেন? জবাবে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির এই সদস্য বলেন, ‘লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে মতুয়াদের সমর্থনের জেরে বাংলায় আশাতীত সাফল্য পেয়েছিল দল। 

বিজ্ঞাপন


কিন্তু এদিন নতুন জেলা সভাপতিদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কোনও মতুয়া প্রতিনিধি নেই। বিষয়টি নিয়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের তরফে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’ জেলা সভাপতি বদলের জেরে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গান্ধীপল্লিতে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। 

বিজ্ঞাপন


শীর্ষ রাজ্য নেতৃত্বের কাজে ক্ষুব্ধ দলের পরিচিত মুখ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য কমিটি থেকে ইতিমধ্যেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে সায়ন্তন বসুকে। রাজুবাবু দলের সহ-সভাপতি থাকলেও তাঁকে নবগঠিত ‘কলকাতা বিভাগ’-এর আহ্বায়ক করা হয়েছে। সেই বিভাগের ইন-চার্জ দুই নয়া সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পল ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

বিজ্ঞাপন


অর্থাৎ দলে ও পদে সিনিয়র হলেও রাজুবাবুকে কাজ করতে হবে জুনিয়রদের অধীনে। রাজুবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, ‘যা বলার রাজ্য সভাপতিকে বলব। বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় গ্রুপে থাকার প্রয়োজন নেই বলে এদিন সেখান থেকে বেরিয়ে যাই।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য সে সবে গা দিচ্ছেন না। তাঁর মতে, নতুন কমিটি হলে একটু আধটু বিক্ষোভ হয়। এদিন জয়নগর, মালদহ উত্তর এবং বোলপুরকে নয়া সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে নেতৃত্ব।

No comments