সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুরপ্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বিভীষণপুর অঞ্চলের এবং ভগবানপুর এর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ভাইরাল হত…
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক,ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বিভীষণপুর অঞ্চলের এবং ভগবানপুর এর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ভাইরাল হতে দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভগবানপুর ব্লকের বিভীষণপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি তথা ভগবানপুর১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রনব মাইতির বিষ্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল হয়।
গত ২২ শে ডিসেম্বর বিভীষণপুর অঞ্চলে তৃণমূলের এক সভা হয়, সেই সভা থেকেই ভগবানপুর ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস দল বিরোধী কথা বলেন বলে অভিযোগ বিভীষণপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি তথা ভগবানপুর ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব মাইতির। প্রনব মাইতির অভিযোগ, গত ২২ শে ডিসেম্বর ভগবানপুর ব্লকের বিভীষনপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভা মঞ্চ থেকে দল বিরোধী কথা সহ দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বক্তব্য রাখেন তৃণমূলেরই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস। সেদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। এক প্রকার তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো ভগবানপুর ১ ব্লকে। এর পাশাপাশি প্রনববাবু বলেন, এর তীব্র ধিক্কার জানাই আমি, আমাদের না জানিয়েই গৌরহরি মাইতি কে বিভীষণপুর অঞ্চল তৃণমূলের কনভেনার হিসেবে ঘোষণা করেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস। বিভীষণপুর অঞ্চলের তৃণমূলের নেতাদের বাদ দিয়েই এমন ঘোষণা করায় আমরা ক্ষুব্ধ। আগের দিনের যে তৃণমূলের সভা হয়েছিল বিভীষণপুর অঞ্চলে সেখানে চন্ডিপুর বিধানসভার বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে বহিরাগত লোক বলে কটাক্ষ করেন অভিজিৎ দাস এমনটাই অভিযোগ বিভীষনপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি প্রণব মাইতির। তাঁর পাশাপাশি প্রণব বাবু বলেন, জেলা কনভেনার অভিজিৎ দাস ডানপন্থী দলের সংবিধানটুকু জানেন না, উনি আগে বামপন্থী করতেন তারপর আরএসপি করতেন, সেখান থেকে কংগ্রেস তারপর ডানপন্থী করছেন। দলের কালচার জানেন না, আপনি বামপন্থী দলের কালচার মেনে চলছেন, তাই এর তীব্র ধিক্কার জানাই।এমনই বিরোধ দেখা গেল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জানিয়ে এক প্রকার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।এ বিষয়ে কাঁথির সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু এ বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, অভিজিত বাবু কি বলেছেন, কেন বলেছেন আমি জানিনা। সোহম চক্রবর্তী কে বহিরাগত সম্বন্ধে বলেন যেখানে ঠিক করেছে সেখানে আমরা মানতে বাধ্য বলেছি জানি না। কিন্তু কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি জানান, আমি ওই সভাতে উপস্থিত ছিলাম না। স্বাভাবিকভাবে আমাদের যিনি দলীয় চেয়ারম্যান তিনি কি বক্তব্য রেখেছেন সেই ভিডিও আমি শুনিনি।যাইহোক না কেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তৃণমূলের সভার কথা জানলেই মানুষকে যেতে বলেছেন। তিনি সভা করেছেন এবং সেই সভাতে তিনি কি বক্তব্য রেখেছেন সেটা আমি শুনিনি। তিনি কি দল বিরোধী কথা বলেছে কি না, তা আমি জানি না। আমি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি। যেখানে দলের সভা হবে সেখানে আমার আমন্ত্রণ থাকার কথা৷ সুতরাং যে সভাতে আমার আমন্ত্রণ থাকে, সেখানে আমি নিশ্চিতভাবে যাই। যেখানে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয় না, সেখানে আমি যাই না। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভা করছেন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা হবে, আমি স্বাগত জানাই। যাতে বিভাজন না করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলবো। আমাদের লড়াইটা মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে কাঁথি ও এগরা পুরসভার নির্বাচন আছে। যখন নির্বাচন আসে আমরা তখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করি। তবে নির্বাচনের আগে স্বাভাবিকভাবেই একটা নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। সেটা থাকবে। কিন্তু সেটা হেলদি বলে মনে করি। এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো না, যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইটা দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূলকে অবশ্য কটাক্ষ করতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। ভগবানপুর-১ ব্লকের উত্তর মন্ডলের সভাপতি স্নেহাশিস আচার্য বলেন, "তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যস্ত। খোদ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরাই বলছেন যে, চন্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী বহিরাগত। এখানে তাঁর স্থান নেই। কে বহিরাগত আর কে ভূমিপুত্র এই নিয়েই তৃণমূল ব্যস্ত। সারা পশ্চিমবঙ্গের মতো ভগবানপুরেও প্রকাশ্যে তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এলো।
No comments