ওসি' র নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা দাবি, তদন্তে পুলিশ জনজীবনে অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক। আর তাতেই ছোট থেকে বড়, সকলেই এই মাধ্যমে নিজেদের কম-বেশি অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন। এর বিস্তার এতদূর যে, কলকাতায় বসে লন্ডনে…
ওসি' র নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা দাবি, তদন্তে পুলিশ
জনজীবনে অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক। আর তাতেই ছোট থেকে বড়, সকলেই এই মাধ্যমে নিজেদের কম-বেশি অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন। এর বিস্তার এতদূর যে, কলকাতায় বসে লন্ডনের মানুষের সঙ্গে বিনা বাধায় কথোপকথন সেরে নিতে পারেন সকলেই। ফেসবুকে বন্ধু যেমন পাওয়া যায়, তেমনই বারবার অনেকে প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতার শিকারও হন। প্রচুর ভুয়ো আইডি ঘোরাফেরা করে এই মাধ্যমে। আর তাতে বাদ পড়লেন না পুলিশ আধিকারিকও।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার ওসির নামে ভুয়ো আইডি তৈরি করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশকিছুদিন ধরে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস এর
নামে ফেসবুক প্রোফাইল বানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে। এরপর বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে রয়েছি বলে টাকা চাওয়া হয়। আবার কখনও কারোর থেকে ৫০০০ হাজার টাকা, আবার কখনও ১০০০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করে ওই দুষ্কৃতীরা।তবে এই ঘটনাটি ভগবানপুর থানার ওসির নজরে বিষয়টি আসতেই তিনি দ্রুত ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেন ” Urgent ……Urgent requets আমার নাম করে কেউ ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সবার কাছে টাকা চাইছে। কেউ ওর ফাঁদে পা দেবেন না। ওটা পুরোপুরি ফেক।” এরপরই ফেসবুক পোস্টটি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল ও একাধিক মন্তব্য আসতে শুরু হয়ে যায়।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
এবিষয়ে ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, “বেশকিছুদিন ধরে আমার নামে একটি প্রোফাইল তৈরি করে একাধিক বন্ধু বান্ধব সহ অনেক জনের কাছ থেকে ফোনপে তে টাকা চাওয়া হয়েছিল। আর এই ঘটনা জানতে পেরে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সবিস্তারে বিষয়টি আপলোড করেন। পাশাপাশি সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে কেউ যেন এই প্রতারণা চক্রের পা না দেন তা নিয়ে বার্তা দেন। এরপর তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান বলেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ পড়লে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই অ্যাকাউন্টটি কেরালার কচি থেকে তৈরি হয়েছিল। তবে এখন দেখার, এর পিছনে কারা রয়েছে, তা খুঁজে বার করতে পারে কিনা পুলিশ-প্রশাসন।
No comments