পাঁউশী অনাথ আশ্রমের উদ্যোগে তৈরি হল পুষ্টি বাগানপ্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর,সবুজায়নে সেজে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের পাঁউশী অন্ত্যদ্বয় অনাথ আশ্রমের পুষ্টিবাগান।সারা বছরে ঋতু অনুযায়ী অন্যান্য সব্জীর পাশাপাশি…
পাঁউশী অনাথ আশ্রমের উদ্যোগে তৈরি হল পুষ্টি বাগান
প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর,সবুজায়নে সেজে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের পাঁউশী অন্ত্যদ্বয় অনাথ আশ্রমের পুষ্টিবাগান।সারা বছরে ঋতু অনুযায়ী অন্যান্য সব্জীর পাশাপাশি শীতকালীন ফসল ফুলকপি বাঁধাকপি, টমেটো- সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জীতে সেজে উঠেছে আশ্রম চত্বর। অনাথ আশ্রম এর শিশুদের উদ্বুদ্ধ করতে আশ্রমের গ্রাউন্ডের মধ্যে চাষ করে তাঁদের নামকরন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুষ্টি বাগান। আর সে কারনে আশ্রমের শিশুরা উৎফুল্লতার সাথে নিজেদের মতো করে পড়াশুনার পাশাপাশি বাগান পরিচর্যায় মন দেয়।
সেই বাগানে ভেষজের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া সব্জীকে জৈবসারে রূপান্তরিত করে তা চাষের কাজে লাগানো হয়।
অনাথ আশ্রমের এক আবাসিক রাজীব খাটুয়া বেশ কিছুদিন আগে আশ্রমে এসেছে। সে জানায়, আশ্রমের এই উদ্যোগ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে, যে কারনে নিজেরাই ফসল ফলিয়ে তাঁরা আনন্দ পায়। আশ্রমের চত্বর ঘিরে প্রায় ৫ বিঘা জায়গা জুড়ে চাষ হয়েছে নানান শীতকালীন সব্জী বাগান। তাঁর পাশাপাশি, ফলের গাছ আম, জাম, নারকেল, পেয়ারা- সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ফলেরও বাগান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নানান ফুল গাছও সেজে উঠেছে আশ্রম চত্বর।
আশ্রমের আরেক আবাসিক অনুষ্কা ব্যানার্জী জানায়, আমরা এখানে সকলে মিলে নিজেরাই পুষ্টি বাগানের পরিচর্যা করি। এখানে খুব ভালো লাগছে, পরিবেশ ও খুব ভালো, তাই আমরা প্রচুর সহযোগিতা করি, পরিবারের মতো সকলে মিলেমিশে হাতে হাত লাগিয়ে পুষ্টি বাগানের পরিচর্যা করি।
শুধু তাই নয়, আবাসিকদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে আশ্রমের এরিয়ার মধ্যে বড় কয়েকটি পুকুর খনন করে সেখানে মাছ চাষ করা হয়েছে, যা আশ্রম কর্তৃপক্ষ ঘরোয়া পদ্ধতিতে পুকুরের মাছ বেড়ে ওঠার পরিচর্যা করেন। সেই মাছ খাওয়ানো হয় আবাসিকদের।
এ বিষয়ে আশ্রমের সম্পাদক বলরাম করন বলেন, আশ্রমকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সমস্ত বিষ প্রয়োগ বাদে আশ্রমের সমস্ত শিশু ও স্টাফ মিলিত ভাবে বাগান পরিচর্যা করে চলেছি। পড়াশুনার পাশাপাশি এই পুষ্টি বাগান তৈরি করতে এসে একটা জ্ঞান লাভ করছে শিশুরা, যে কিভাবে অঙ্কুরোদগম হয়, আর সেখান থেকে চারাগাছ জন্মায় , একটা ফুলকপি কতদিনের মধ্যে সম্পূর্ণহয় তা তাঁরা উপলব্ধি করছে। নিজে বীজ বপন করার পর সে যখন ওই ফসলটা তুলছে তখন তাঁদের মনের আনন্দ তা দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি পুকুরের নানান ধরনের মাছ চাষ করে রাখা হয়েছে আবাসিকদের জন্য। তবে আশ্রম কতৃপক্ষের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি।
No comments