Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে খাদে উলটে গেল টুরিস্ট বাস

হলদিয়া টুরিস্ট বাসের দুর্ঘটনা আহত একাধিক


হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে খাদে উলটে গেল টুরিস্ট বাসহলদিয়ার চৈতন‍্যপুরের গোবিন্দপুর থেকে উড়িষ্যার দ্রারিংবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে খাদে উলটে গেল যাত্রীবাহী টুরিস্ট বাস। এখনো পর্যন্ত ৬৭ জন কে …

 


হলদিয়া টুরিস্ট বাসের দুর্ঘটনা আহত একাধিক




হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে খাদে উলটে গেল টুরিস্ট বাস

হলদিয়ার চৈতন‍্যপুরের গোবিন্দপুর থেকে উড়িষ্যার দ্রারিংবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে খাদে উলটে গেল যাত্রীবাহী টুরিস্ট বাস। এখনো পর্যন্ত ৬৭ জন কে উদ্ধার করা হয়েছে।তাদের মধ‍্যে ১৫ জন গুরুতর আহত ১২-১৩ জন সামান্য আহত ও বাকি ৩০ জন সুস্থ রয়েছে। বিশেষ সূত্রের খবর

 পুরী বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল হলদিয়ার চৈতন্যপুর এলাকার একটি ট্যুরিস্ট বাস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই বাসটি ওড়িশার পার্বত্য এলাকা দারিংবাড়ি থেকে পুরীর দিকে যাওয়ার সময় কন্ধ্যামাল জেলার কলিঙ্গঘাটির কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই বাসে ৬৭ জন পর্যটক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন জখম হয়েছেন। জখম যাত্রীদের মধ্যে ১৪-১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জখম যাত্রীরা ওড়িশার ভুবনেশ্বর এইমস সহ চার পাঁচটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনার পর পরিজনদের জন্য শুক্রবার দিনভর উদ্বেগে কাটালেন চৈতন্যপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষজন। ওড়িশা প্রশাসন জখমদের যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। সুতাহাটা থানার পুলিস, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ওড়িশা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। জানা গিয়েছে, কলিঙ্গঘাটি এলাকায় পাহাড় থেকে নামার সময় অন্ধকার রাস্তায় একটি ইউটার্নে বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যুরিস্ট বাসটি উল্টে যায়। পরপর দু’বার পাল্টি খেয়ে রাস্তার পাশে গার্ডওয়ালে আটকে যায়। 

বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার সকালে ৬দিনের ট্যুরে পুরী রওনা দেয় বাসটি। সুতাহাটা থানার চৈতন্যপুর এলাকার গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা স্থানীয় একটি এজেন্সির সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। গোবিন্দপুর ছাড়াও বরদা এলাকার লোকজনও ছিলেন। প্রথমে দীঘা বেড়ানোর পর বাসটি দারিংবাড়ি রওনা দেয়। দিনভর পাহাড়ী এলাকা বেড়ানোর পর বাসটি ঢালু পথ বেয়ে নীচে নামার সময়েই দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় জখম গেঁওখালি সেচদপ্তরের কর্মী ইন্দিরা করের স্বামী বিদ্যুৎ কর বলেন, করোনার জন্য দীর্ঘদিন কেউ কোথাও বেড়াতে বেরয়নি। সেজন্য স্থানীয় মহিলারা মিলে বেড়াতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।


সোমবার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটল। দুর্ঘটনায় জখম দীপক কর প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পেলেও এখনও প্রবল যন্ত্রণা সারা শরীরজুড়ে। কিন্তু যন্ত্রণা সরিয়েই বাকি জখমদের চিকিৎসার জন্য তিনি প্রাণপাত করছেন, ছুটছেন বিভিন্ন হাসপাতালে। মোবাইলে তিনি জানান, বেড়াতে যাওয়ার টিমে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। পুরুষ কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। যে কয়েকজন ছিলেন তাঁরা সবাই গুরুতর জখম। বেশিরভাগেরই কোমরে, মাথায়, হাতে, মুখে লেগেছে। এইমস, কটক, বেরহামপুর মেডিক্যাল, জি উদয়গিরি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সবার। বাসের মালিক নিজেই পাঁশকুড়া থেকে রাতে ওড়িশায় গিয়েছেন। চৈতন্যপুরের উপপ্রধান তপন মান্না বলেন, জখমদের চিকিৎসার পর কীভাবে ফেরানো হবে তা নিয়ে প্রশাসন আলোচনা করছে।

No comments