Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দিঘার সৈকতে সোনালি রোদে চিকমিক করছে জল, রঙিন পাখিদের মেলায় মুখর

দিঘার সৈকতে সোনালি রোদে চিকমিক করছে জল, রঙিন পাখিদের মেলায় মুখর 
ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ওদের আগমন। ফিরতে ফিরতে সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ। আর এই অল্পদিনেই ওরা বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে উপকূলের মানুষের।পূর্ব মেদিনীপুর: শীতের দিঘায় বাড়তি পাওনা ভ্…

 



দিঘার সৈকতে সোনালি রোদে চিকমিক করছে জল, রঙিন পাখিদের মেলায় মুখর 


ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ওদের আগমন। ফিরতে ফিরতে সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ। আর এই অল্পদিনেই ওরা বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে উপকূলের মানুষের।পূর্ব মেদিনীপুর: শীতের দিঘায় বাড়তি পাওনা ভ্রমণ পিপাসুদের। পাখিদের ভিড়ে জমজমাট দিঘার লেক। বাড়তি নজর রাখছে রামনগর ১ ব্লক প্রশাসন

শীতের আমেজ মানেই পিকনিক, কেক, গুঁড়, পাটালি ও সমুদ্রবিহার! হয়তো এবার একটু বাড়তি পাওনাও রয়েছে। শীত মানেই হিমেল হওয়া, সোনালি ধানের খেত নীল আকাশ ও সারি সারি পাখির মেলা। উত্তরের হিমেল বাতাসে ভর করে দূরদিগন্ত থেকে উড়ে এসেছে ওরা। ভিড় জমিয়েছে সুদূর সৈকত এলকায়। ওরা এসেছে দূর সাইবেরিযা, তিব্বত, হিমালয়ের পাদদেশ, চীন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে। এই প্রথম না। বিগত কয়েকবছর ধরেই আসছে ওরা। তীব্র শীত ও খাদ্যাভাব থেকে বাঁচার জন্যই ওরা উড়ে আসে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ওদের আগমন। ফিরতে ফিরতে সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ। আর এই অল্পদিনেই ওরা বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে উপকূলের মানুষের। দিঘা গেটের একদম কাছেই রয়েছে বেনিফিসের দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া সাড়ে সাড়ে ৭ হেক্টরের মাছের খামার। যা দিঘা লেক নামেই পরিচিতি।


জলাশয় ঘিরে নারকেল, ঝাউয়ের ঘন জঙ্গল। ফলে এই শীতকালে এই জলাভূমিই হয়ে উঠেছে পরিযায়ীদের মুক্তাঞ্চল। আর তাদের স্বাগত জানাতে তৈরি কর্তৃপক্ষও। পাখির মধ্যে অধিকাংশই জলচর ও হাঁস-প্রজাতির। বৃক্ষচারী পাখিও আছে, তবে সংখ্যায় খুব কম। যাদের মধ্যে সর্বাধিক রুডি শিলড ডাকস, বার হেডেস গুস, এশিয়ান ওপেন বিলড স্ট্রোক, কমন কুট, ব্রাউন হেডেড গুল, করমোরান্ট, মার্শ হ্যারিয়র-সহ বহু প্রজাতির পরিযায়ী পাখি থাকে। তাই পাখিপ্রেমীদেরও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দিঘা ফিশারী ঝিল এলাকায়।পরিবেশ প্রেমী সোমনাথ দাস অধিকারী বলেন, “ডিসেম্বর থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ২৫টি প্রজাতির কয়েক হাজার পরিযায়ী আস্তানা গড়েছে দিঘার উপকন্ঠে এই মৎস্য খামারে। পরিযায়ীরা যাতে নিরিবিলিতে নিরাপত্তায় সময় কাটাতে পারে সে জন্য বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষও।”আরো জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই মৎস্য খামারকে ঘিরে ইকো–ট্যুরিজম পার্ক গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বেনফিস অর্থাৎ রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। এই লেকে জলের ওপর কটেজ তৈরি ছাড়াও পাখি দেখার পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে । পরিযায়ী পাখিরা যাতে নিরাপদভাবে আনাগোনা করতে পারে তার জন্য আমরা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত সমানে নজরদারি চালানো হচ্ছে। খামারের মাছ থাকায় ওদের খাদ্যাভাবও হয় না। পরিযায়ীদের করিডর গড়ে পাখি দেখার পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হবে বলে জানা গেছে দফতর সূত্রে।এই বিষয়ে রামনগর ১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “আমরা এই ডিসেম্বরের মধ্যে বন দফতর সঙ্গে কথা বলেই পাখি দের জাতি বিশ্লেষণ করে পর্যটকদের এই লেক মুখী করার পরিকল্পনা নিয়েছি । এবং যাতে পর্যটকরা নিশ্চিন্তে পাখি দেখতে পারেন তার জন্য নো হর্ন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ড লাগাচ্ছি ,পর্যটকদের বসার জন্য সিট ব্রেঞ্চ ব্যাবস্থা করাও হচ্ছে। ও পর্যটনের মানচিত্রে দিঘা লেকের উল্লেখ ও থাকবে।”

No comments