আগামী বৎসরে প্রথম থেকেই শুরু হবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ১০ ই জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দু’দিন আগেও স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, বুস্টার ডোজ নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়…
আগামী বৎসরে প্রথম থেকেই শুরু হবে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ
১০ ই জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের
দু’দিন আগেও স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, বুস্টার ডোজ নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় অবস্থান বদলাল সরকার। শনিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির জন্মদিন তথা বড়দিনের উৎসবমুখর রাতে টিভির পর্দায় হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করলেন কেন্দ্রের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা— বুস্টার ডোজ এবং ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে নতুন বছরের গোড়াতেই। ওমিক্রন আতঙ্কে বিদেশে ইতিমধ্যে বুস্টার ডোজ চালু হয়েছে। সেই পথে হাঁটল ভারতও। দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও এবার স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির কোভিড-যোদ্ধা এবং কো-মরবিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ফের ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবে ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ জরুরি। কো-মরবিডদের জন্য সতর্কতা বাবদ এই তৃতীয় বিকল্পটিকে বলা হচ্ছে প্রিকশনারি ডোজ। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই ডোজ দেওয়ার কাজ। একইসঙ্গে নতুন বছরের শুরুতেই চালু হতে চলেছে নাবালকদের জন্য টিকাকরণ কর্মসূচি। তবে সেটা ধাপে ধাপে। প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের। এই কর্মসূচি শুরু হবে ৩ জানুয়ারি থেকে। এদিন বিকেলেই ভারত বায়োটেকের নাবালকদের টিকায় অনুমোদন মিলেছে। তবে এই দু’টি ক্ষেত্রেই ডোজের দাম জানানো হয়নি।
শীতের উৎসব মরশুমে আচমকা এই ঘোষণায় একটা বিষয় স্পষ্ট, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় কেন্দ্র এবং তাদের কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটি কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী নিজেই এদিন বলেছেন, ‘আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও প্রয়াস যেন করা না হয়। কোভিডের জন্য ঠিক যে প্রোটোকল এতদিন ধরে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি মেনে চললেই এই সঙ্কটের মোকাবিলা করা সম্ভব।’
ঠিক যেভাবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনার ভ্যাকসিন প্রথম প্রদান করা হয়েছিল করোনা যোদ্ধাদের, সেভাবেই দেওয়া হবে এই প্রিকশনারি তথা বুস্টার ডোজ। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচি যথেষ্ট ইতিবাচক। ৬১ শতাংশ দেশবাসীর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৯০ শতাংশ নাগরিকের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ।’ উল্লেখ্য, বড়দিনের রাতে আচমকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রত্যাশিতভাবেই দেশজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, মোদি আবার কী ঘোষণা করতে চলেছেন? ওমিক্রন আতঙ্কে ফের লকডাউন নিয়েও চর্চা শুরু হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ থেকে স্পষ্ট, সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত হলেও আপাতত আর সার্বিক লকডাউনের পথে হাঁটবে না কেন্দ্র।
No comments