দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকা কালভার্টগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা বালুঘাটা-কুকড়াহাটি রোডে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য একাধিক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকা কালভার্টগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা…
দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকা কালভার্টগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
বালুঘাটা-কুকড়াহাটি রোডে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য একাধিক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকা কালভার্টগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিকাদার সংস্থার কাজে ঢিলেমির জন্য প্রায় বছরখানেক ধরে এগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও ভেঙে ফেলা কালভার্টের কংক্রিট পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। কংক্রিট চাঁই থেকে ত্রিশূলের মতো বেরিয়ে রয়েছে লোহার রড। কোথাও জলনিকাশি বড় কালভার্ট ভেঙে সরু হিউম পাইপ বসানোয় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। প্রসঙ্গত, প্রায় ৭৮কোটি টাকা ব্যয়ে বালুঘাটা-কুকড়াহাটি ১৬কিলেমিটার রাস্তা ফ্লাই অ্যাসের ব্লক বসিয়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
হলদিয়ার ব্রজলালচক বাজারের বালুঘাটা রোডে কালীমন্দিরের কাছে চকদ্বীপা খালের উপর কালভার্টটি প্রায় বছর খানেক আগে চওড়া করার জন্য ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় দোকানদার ও পথচারিরা বলেন, ভেঙে ফেলার পর থেকে কালভার্টের এলাকা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কংক্রিটের চাঁইগুলিতে প্রতিদিন অনেকেই ধাক্কা খাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় আলো না থাকায় আরও সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থার লোকজনের টিকির নাগাল মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে, চৈতন্যপুর সংলগ্ন চকলালপুরের কাছে রাস্তার উপর বক্স কালভার্ট ভেঙে ফেলার পর সেখানে হিউম পাইপ বসানো নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেন, হিউম পাইপ দিয়ে জল নিকাশির সমস্যা হবে। ফলে চকলালপুর, চৈতন্যপুর ও উত্তর রানিচক তিনটি মৌজার জল দেউলপোতা খালে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। খরচ কমাতেই হিউম পাইপ বসানো হচ্ছে। স্থানীয়রা এবিষয়ে জেলা প্রশাসনকেও জানিয়েছে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা বলেন, হিউম পাইপ বসানো নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখানোর পর ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে গ্রামবাসীদের মিটিং হয়েছে। স্থানীয়দের চাপে পড়ে ওই জায়গায় হিউম পাইপের পাশে ছোট একটি কালভার্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
No comments