গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে গহনা বড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা
শীতের অন্যতম সুস্বাদু একটি খাবার গহনা বড়ি। এই গহনা বড়ি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদনীপুর জেলায় প্রস্তুত একটি অতি জনপ্রিয় খাদ্য। এটি নকশা বড়ি নামেও পরিচিত…
গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে গহনা বড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা
শীতের অন্যতম সুস্বাদু একটি খাবার গহনা বড়ি। এই গহনা বড়ি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদনীপুর জেলায় প্রস্তুত একটি অতি জনপ্রিয় খাদ্য। এটি নকশা বড়ি নামেও পরিচিত।
এটি বিউলির ডাল, পোস্ত ও বিভিন্ন ধরনের মশলার মিশ্রণে প্রস্তুত এবং গহনার মত সূক্ষ্ম নকশা সমন্নিত অতি দৃষ্টিনন্দন একপ্রকার বড়িবিশেষ।
গহনা বড়ি বহু শতাব্দী প্রাচীন একটি কুটির শিল্প যা সাধারণত বাড়ির মহিলারা প্রস্তুত করে থাকেন। আধুনিক কালে বাংলা বিশিষ্ট মনিষীগণ এই শিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
গহনা বড়ির জি আই স্বীকৃতির জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ আবেদন জানিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ চাচ্ছে বিখ্যাত গহনা বড়ির স্বীকৃতি পাওয়ার। ২০১৬ সালে আই আই টি খড়গপুর গহনা বড়ির ভৌগোলিক উপদর্শন শংসাপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বাংলার সরকার চাচ্ছেন বাংলার প্রান্তিক মহিলারা যাতে কুটির শিল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হোক। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনাকে পাথেয় করে মহিষাদল বিশ্বকলা কেন্দ্রের উদ্যোগে মহিষাদলের পূর্বশ্রীরামপুর গ্রামে আয়োজন করা হয় গহনা বড়ি প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা। এদিন ৪০ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে।
আগামী ১৫ ই ডিসেম্বর সর্বাধিনায়ক সতীশ চন্দ্র সামন্তের ১২২ তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হবে। এখন দেখার বাংলার অন্যতম গহনা বড়ি জি আই স্বীকৃতি পূর্ব মেদিনীপুরের মুকুটে কবে আসে। প্রতিযোগী প্রিয়দর্শিনী জানা, শ্রাবনী মাইতি, পারমিতা জানা বলেন, গ্রামবাংলার একটি অতিপরিচিত খাওয়ার গহনা বড়ি। এটি মূলক শীত কালে প্রস্তুত করা হয়। বাড়ির কাজের ফাঁকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা বাড়িতে গহনা বড়ি তৈরি করছি। সেই বড়ি বিক্রি করে আমরা স্বনির্ভর হয়েছি। আমরা চাই বাংলার পূর্ব মেদিনীপুরের গহনা বড়ি যেমন দ্রুত জি আই স্বীকৃতি লাভ করুক।
বিজ্ঞাপন
তাহলেলে আগামীদিনে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌছে যাবে আমাদের তৈরি গহনা বড়ি। মহিষাদল বিশ্বকলা কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বনাথ গোস্বামী জানান, রাজ্য সরকার চাইছেন গ্রামবাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে। তাই বাংলার অন্যতম গহনা বড়ি তৈরি করে যাতে মহিলারা স্বনির্ভর হয় তার জন্য আমরা সর্বাধিনায়ক সতীশ চন্দ্র সামন্তের ১২২ তম জন্মদিন ১৫ ই আগস্ট সেই দিনটিকে সামনে রেখে গ্রামীন এলাকার মহিলাদের নিয়ে গহনা বড়ি প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। প্রশিক্ষক পাপিয়া সামন্ত জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমরা গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের নিয়ে গহনা বড়ি সহ অন্যান্য বড়ি তৈরি করার কাজ করে চলেছি।
বিজ্ঞাপন
আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকার মহিলা এই ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা স্বনির্ভর হয়ে উঠুক। গ্রামীন এলাকার মহিলারা স্বনির্ভর হলেই তবেই আমাদের প্রশিক্ষণ সার্থক হবে
No comments