Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে রাজ্য!

আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে রাজ্য!  আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে রাজ্য! উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা ফের বিপদাপন্ন হতে পারেন। দক্ষিণবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়…

 



আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে রাজ্য! 

 আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখে রাজ্য! উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা ফের বিপদাপন্ন হতে পারেন। দক্ষিণবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকালের দিকে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’। এর জেরে শনি ও রবিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে মাঝারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে বাংলায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব দুষ্মন্ত নারিওয়ালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ‘জওয়াদ’-এর মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত হয় এই বৈঠকে। সেই মতো জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরানো, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা, পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। 

এর জন্য দেশের বড় অংশে আগামী তিন-চারদিনের জন্য প্রচুর ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেলের আটটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামাক্ষ্যা-পুরী এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ৪৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে ইস্ট-কোস্ট রেল আগামী তিনদিনে ৯৫টি ট্রেন বাতিল বলে ঘোষণা করেছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ‘জওয়াদ’ ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। পূর্ব মেদিনীপুরে শনিবারই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতায় হবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। রবিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উপকূলবর্তী জেলায় ঝোড়ো বাতাসের গতি শনিবার সন্ধ্যায় অনেকটাই বেড়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারও হতে পারে। সেই সঙ্গে চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। মৎস্যজীবীদের আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী দুই জেলার মানুষকে সতর্ক করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। সুন্দরবনের কিছু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানো শুরু হয় এদিন থেকেই। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সব ক’টি সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এনডিআর‌এফের আটটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। কল্যাণী, দীঘা, কাকদ্বীপ, সন্দেশখালি, আরামবাগ ও খড়্গপুরে একটি করে এবং কলকাতায় ২টি টিম পাঠানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আরও আটটি টিম। রাজ্যের ১২টি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে এসডিআরএফের টিম। খোলা হচ্ছে একাধিক কন্ট্রোল রুম।

No comments