কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে ৫১ পীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মাতার বাৎসরিক বিশেষ পূজা ও সপ্তসতী যজ্ঞানুষ্ঠান করোনা বিধি মেনে
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক ঃঃাসারা বিশ্বে, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে শক্তি পুজো প্রচলিত আছে। শক্তি পুজো ভারতবর্ষে…
কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে ৫১ পীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মাতার বাৎসরিক বিশেষ পূজা ও সপ্তসতী যজ্ঞানুষ্ঠান করোনা বিধি মেনে
প্রদীপ কুমার মাইতি, তমলুক ঃঃাসারা বিশ্বে, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে শক্তি পুজো প্রচলিত আছে। শক্তি পুজো ভারতবর্ষে ঋকবেদের সময় থেকে পাশাপাশি এই শক্তি পূজার বিভিন্ন রকম মন্ত্র দ্বারা শক্তিপূজো প্রচলিত ছিল। যেগুলোকে ঋষি মার্কণ্ডেয় একসাথে গ্রথিত করে মার্কন্ডেয় পুরাণের গ্রথিত করেন। সেই মার্কণ্ডেয় পুরাণ থেকে সপ্তশত শ্লোক নিয়ে সপ্তশতী যজ্ঞ হয়। এটা একটি মহান যজ্ঞানুষ্ঠান।
প্রাচীন তাম্রলিপ্ত শহরে 51 পীঠের একপিঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে বেশ কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এ সপ্তশতী যজ্ঞানুষ্ঠান। কাত্যায়নী চতুর্দশী তিথিতে এই যজ্ঞানুষ্ঠান হয়ে থাকে। আগে যেখানে 15-16 টি ঘট স্থাপন করে 30 জন ব্রাহ্মণ দিয়ে যজ্ঞানুষ্ঠান করা হতো, সেখানে এবছর কুড়িজন ব্রাহ্মণ দিয়ে দশটি ঘট স্থাপন করে সপ্তসতী যজ্ঞানুষ্ঠান করতে হয়েছে।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই যজ্ঞানুষ্ঠান চলে। প্রত্যেক বছর যে ভাবে বাৎসরিক যজ্ঞানুষ্ঠান হয়, এবছর করোনা আবহে বেশকিছু কাটছাঁট করা হয়েছে অনুষ্ঠানে।বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে, দুপুর ও সান্ধ্যকালীন প্রসাদ বিতরণ বন্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেককে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ বাধ্যতামূলক। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভক্তের সমাগম অনেকটাই কম।
No comments