এক বছরে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশিগত এক বছরে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সংসদে এ কথা জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। তবে কিছুটা হলেও মু…
এক বছরে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি
গত এক বছরে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বুধবার সংসদে এ কথা জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। তবে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা করেছে পণ্য পরিবহণ। গোটা পরিস্থিতিতে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে রেল বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল ক্ষতির পরিমাণ সামাল দিতেই কি রেগুলার ট্রেন পরিষেবা চালু করেও সেকেন্ড ও অসংরক্ষিত ক্লাসে সংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট চালু রেখেছে রেল? যদিও রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনাকালে অসংরক্ষিত শ্রেণিতে যাতে অযথা ভিড় না হয়, সেই লক্ষ্যেই সেখানে টিকিট রিজার্ভ করে যাত্রীদের চড়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এখন স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও জেনারেল কামরায় সংরক্ষিত টিকিটই কার্যকর হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় লিখিতভাবে রেলের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পেশ করেছেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাতেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যাত্রীভাড়া থেকে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে যে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ট্রেনের যাত্রীভাড়া থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার সামান্য বেশি। কিন্তু ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ওই পরিমাণ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৫ হাজার ২৪৮ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। রেলের অন্যান্য খাতে রাজস্ব বাবদ আদায়ের পরিমাণও উল্লিখিত সময়সীমায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কমেছে। এমনই উল্লেখ রয়েছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে।
এদিন লোকসভায় রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রেলের মোট ট্র্যাফিক রেভিনিউয়ের পরিমাণ ৩৪ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা কমেছে। এর প্রধান কারণ প্যাসেঞ্জার রেভিনিউ ও অন্যান্য কোচিং রেভিনিউয়ের পরিমাণ লক্ষ্যণীয়ভাবে হ্রাস পাওয়া। তবে এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ কিছুটা হলেও সম্ভব হয়েছে ওই সময়ে পণ্য পরিবহণ খাতে আয় বৃদ্ধি পাওয়ায়।’ সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ (গুডস রেভিনিউ) বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা।
তবে একইসঙ্গে লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখিতভাবেই জানিয়েছেন যে, গত এক বছরে রেল কর্মীদের ইনসেনটিভ কিংবা অন্যান্য ভাতায় কোনও কাঁটছাট করা হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, করোনা মহামারী মোকাবিলায় দেশজোড়া লকডাউনে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের একটা বড় সময়ই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সম্ভবত তারই প্রভাব পড়েছে যাত্রীভাড়াতেও। যদিও সংসদের লিখিত জবাবে এই ব্যাপারে কোনও উল্লেখ করেননি রেলমন্ত্রী।
No comments