হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে মেঘালয়ে উল্টে গেল বাস
বেড়াতে গিয়ে মেঘালয়ে হলদিয়ার পর্যটক বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় কবলে পড়ল। বুধবার রাতে হলদিয়ার দুর্গাচকের একটি ট্যুরিস্ট বাস উল্টে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জন জখম হয়েছেন। সকলেই দুর্গাচক ট…
হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে মেঘালয়ে উল্টে গেল বাস
বেড়াতে গিয়ে মেঘালয়ে হলদিয়ার পর্যটক বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় কবলে পড়ল। বুধবার রাতে হলদিয়ার দুর্গাচকের একটি ট্যুরিস্ট বাস উল্টে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জন জখম হয়েছেন। সকলেই দুর্গাচক টাউনের বাসিন্দা। জখম দু’জন মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের জরুরিভিত্তিতে অপারেশন করা হয়। বাসে ৬৯ জন যাত্রী ছিলেন। জানা গিয়েছে, ওইদিন শিলং থেকে ৪০ নম্বর জাতীয় সড়কে অসমের গুয়াহাটি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রি-ভোই জেলার নঙপো এলাকায় বিরনিহাট থানার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে বাসটি। শিলং ও গুয়াহাটির মাঝামাঝি জায়গায় নঙপোর অবস্থান। গুয়াহাটি ফিরতে আরও ৪৮কিলোমিটার রাস্তা বাকি ছিল। প্রচণ্ড গতিতে থাকা বাসটি পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নিতে হঠাৎই উল্টে যায় বলে জানান বাসের যাত্রীরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে দুর্গাচক থেকে অসম ও মেঘালয় বেড়াতে ১০ দিনে ট্যুরে বেরিয়েছিল সোনার হরিণ নামে বেসরকারি বাসটি। বেশিরভাগ পর্যটকই ছিলেন দুর্গাচকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ডি ব্লক, তালপুকুর, খঞ্জনচক এলাকার। এছাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চিরঞ্জীবপুর সংলগ্ন মাতঙ্গিনী মোড়ের ১০ জন ছিলেন। প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে মহিলা ও শিশুরা ছিল। বিরনিহাট পুলিস আউট পোস্টের অদূরে দুর্ঘটনা ঘটনায় দ্রুত জখম যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দুর্গাচকের ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ঘোড়াই। মোবাইলে দুর্ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাতে গুয়াহাটি পৌঁছনোর জন্য প্রচণ্ড গতিতে ছুটছিল বাসটি। ওই সময় জানালার পাশের সিটে জেগেই ছিলাম। হঠাৎই একটি বাঁক নিতে গিয়ে বাসটি উল্টে যায়। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, যেদিকে বাসটি উল্টেছে সেই দিকেই ছিলাম, কিন্তু জেগে থাকায় তেমন লাগেনি। আমার কোলে চার বছরের ছেলে ছিল। তারও কিছু হয়নি। কিন্তু উল্টে যাওয়া দিকে জানলার পাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সবাই কমবেশি জখম হয়েছেন। প্রত্যেকের মাথায়, কোমরে ও হাতে লেগেছে। একজন মহিলা মারা গিয়েছেন। বাকি দু’জন মহিলার হাসপাতালে অপারেশন হচ্ছে। সব যাত্রীই গতকাল রাত থেকে হাসপাতালে বসে রয়েছেন। তিনি জানান, যাঁরা সুস্থ রয়েছেন তাঁদের নিয়ে একটি বাস রাতেই শিলিগুড়ি রওনা দিচ্ছে।এদিকে দুর্ঘটনার খবর আসার পর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দুর্গাচকের বাসিন্দারা। হলদিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের সিংহভাগই আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নিয়মিত বাসের যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আইএনটিটিইউসির তমলুক জেলার সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, খবর পাওয়ার পরই পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে অসম ও মেঘালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর পুরী বেড়াতে গিয়ে সুতাহাটার চৈতন্যপুর এলাকার একটি ট্যুরিস্ট বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
No comments