Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে গ্রেপ্তার ৪

বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে গ্রেপ্তার ৪

বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল সুলতানপুর গ্রামের তাপস জানা, কাণ্ডপস…

 




বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে গ্রেপ্তার ৪



বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল সুলতানপুর গ্রামের তাপস জানা, কাণ্ডপসরা গ্রামের শশাঙ্ক নায়েক, বড়কাণ্ডপসরা গ্রামের গৌরহরি জানা ও দুর্গাপুর গ্রামের লক্ষ্মণচন্দ্র মাজি। শশাঙ্কবাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তাঁর পরিবার বিডিও অফিসে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে এসেছে। এনিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে মোট ছ’জন বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তা প্রথম কিস্তি বাবদ পাওয়া তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন। মঙ্গলবার মহিষাদল ব্লকের মায়াচরের বাসিন্দা আশালতা সামন্ত আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করতে না পেরে ৬০ হাজার টাকা বিডিও অফিসে গিয়ে ফিরিয়েছেন। মহিষাদল ব্লকেও এপর্যন্ত পাঁচ উপভোক্তা তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম থানার আইসি তুহিন বিশ্বাস বলেন, বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতি বছর হাজার হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার টাকা ঢুকলেও অনেকেই বাড়ি তৈরি করেননি। জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদ থেকে এনিয়ে ঠিকমতো নজরদারি না থাকায় উপভোক্তারা ওই টাকা অন্য খাতে খরচ করে দিয়েছেন। এভাবে দু’-তিনবছর ধরে চলার পর শেষমেশ দেখা যায়, ওই স্কিমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পারফরম্যান্সের নিরিখে সবার নীচে চলে গিয়েছে। এরপর হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে শুরু হয় বিশেষ অভিযান। যাঁরা বিগত আর্থিক বছরে টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দু’দফায় চিঠি ধরানো হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি তৈরি না করলে টাকা ফেরাতে হবে। ওই চিঠি পাওয়ার পরও অনেকেই বাড়ি বানাননি। তাঁদের বেছে বেছে এফআইআর হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে এরকম ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআরের তোড়জোড় চলছে। এগরা-২ ব্লকে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন বিডিও। দু’জনকে পুলিস আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। নন্দকুমার ও ভগবানপুর-১ ব্লকেও এফআইআর হয়েছে।

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে পারফরম্যান্সে গতি আনতে জেলা প্রশাসন ‘গৃহপ্রবেশ’ নামে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। বিগত বছরে যাঁরা টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি তাঁদের একযোগে বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরকম ১৬ হাজার বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়ে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। প্রথমে ৪ নভেম্বর দীপাবলি উৎসবে একযোগে ১৬ হাজার বাড়ি উদ্বোধনের টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই কাজ অনেকটাই পিছিয়ে থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ১৪ নভেম্বর করা হয়েছিল। সেই তারিখও বদল করে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছে। ওই দিন উপভোক্তাদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা ধরিয়ে একসঙ্গে ১৬ হাজার বাড়ি উদ্বোধন হওয়ার কথা। যদিও নির্মাণের কাজে অনেক উপভোক্তা সাড়া দেননি।

২০২০-’২১আর্থিক বছরে জেলায় এক লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু, অনেক উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজে হাত লাগাননি। ২০২১-’২২আর্থিক বছরে আরও ৩৪ হাজার ৩৮৮টি বাড়ি তৈরির কোটা এসেছে। ওই স্কিমে রেজিস্টার থেকে জিওট্যাগিং ইত্যাদি কাজে ঠিকমতো গতি না থাকায় এবং নজরদারির অভাবে হাজার হাজার উপভোক্তা এতদিন বাড়ি না বানিয়ে সেই টাকা আত্মসাত করেছেন। এখন বেছে বেছে এফআইআর করছে প্রশাসন।

নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত বলেন, মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছিল। নোটিস পাওয়ার পরও যাঁরা কাজ শুরু করেননি তাঁদের নামের তালিকা পঞ্চায়েত থেকে চাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, বাংলার আবাস যোজনায় আমাদের কাজে গতি আনতে হবে। অনেকেই টাকা নিয়েও বাড়ি করেননি। তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে। এরপরও যাঁরা করেননি তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments