Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

১০০ দিনের কাজে রাজ্যের ১২টি জেলায় ২কোটি ৪৫লক্ষ ২৯হাজার ১১৭টাকা তছরুপ

১০০ দিনের কাজে রাজ্যের ১২টি জেলায় ২কোটি ৪৫লক্ষ ২৯হাজার ১১৭টাকা তছরুপ হয়েছে। নয়ছয় হওয়া ওই টাকা উদ্ধার করার জন্য রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।  সোমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব অঞ্জন চক্রবর্তী ১২জেলার জ…

 




১০০ দিনের কাজে রাজ্যের ১২টি জেলায় ২কোটি ৪৫লক্ষ ২৯হাজার ১১৭টাকা তছরুপ হয়েছে। নয়ছয় হওয়া ওই টাকা উদ্ধার করার জন্য রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।  সোমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব অঞ্জন চক্রবর্তী ১২জেলার জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে। আগমী ৩০অক্টোবরের মধ্যে ওই টাকা পুনরুদ্ধার করে এনআরইজিএ সফ্টওয়ারে আপডেট করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার ‘সোশ্যাল অডিটে’র মাধ্যমে ২০১৭-’১৮থেকে ২০১৯-’২০, তিনটি আর্থিক বছরে এই অনিয়মের ঘটনা জানতে পেরেছে। 

এর আগেও টাকা উদ্ধারের জন্য জেলাশাসকদের চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু, টাকা উদ্ধার না হওয়ায় আবার চিঠি দেওয়া হল। কোন জেলায় এবং কোন ব্লকে কত টাকার গরমিল হয়েছে সেই তথ্যও জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ‘আর্জেন্ট’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করছেন অতিরিক্ত সচিব।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি বীরভূম জেলায় তছরুপ হয়েছে। এই জেলায় ১কোটি ১৫লক্ষ ৭১হাজার ৭৯ টাকার অনিয়ম হয়েছে। কর্মদিবসের ভুয়ো মাস্টাররোল দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। ওই জেলায় ২০১৯-’২০আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজে সোশ্যাল অডিট চলাকালীন ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছে। শুধুমাত্র দুবরাজপুর ব্লকেই ২০টি এরকম ঘটনা ধরা পড়েছে। তাতেই ১কোটি ১লক্ষ ১৯৯৭টাকা তছরুপ হয়েছে। কোনও একটি ব্লকে একবছরে একটি প্রকল্পে এক কোটি টাকার বেশি অনিয়মের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। এছাড়াও বোলপুর-শান্তিনিকেতন এবং মহম্মদবাজারে আরও ১৪লক্ষ টাকা অনিয়ম হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ২০১৯-’২০বর্ষে ৩৭লক্ষ ৫৭হাজার টাকা এবং ২০১৮-’১৯বর্ষে ৯লক্ষ ৭৪৭০টাকার গরমিল হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০১৭-’১৮বর্ষে ১৯লক্ষ ৩৫হাজার ৮১৬টাকা এবং ২০১৮-’১৯বর্ষে আরও ১৩লক্ষ ৮০৭১টাকা অনিয়ম হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় ২০১৯-’২০বর্ষে ১০০ দিনের কাজে ১৪লক্ষ ৪২হাজার ১৮৬টাকা অনিয়ম হয়েছে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারে ৮লক্ষ ৫৬হাজার ৪১২টাকা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৪লক্ষ ৩৯হাজার ৯০১টাকা, হাওড়ায় ১লক্ষ ২১হাজার ৭৩২টাকা, নদীয়া জেলায় ৩৫হাজার ৩৭৬টাকা, উত্তর ২৪পরগনা জেলায় ৮২৬৪টাকা, হুগলি জেলায় ১২হাজার ৩৩টাকা, জলপাইগুড়িতে ১লক্ষ ২৪হাজার টাকার অনিয়ম হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চণ্ডীপুর ব্লকে ১০টি কেস চিহ্নিত করেছে সোশ্যাল অডিট টিম। তাতে ১লক্ষ ৪১হাজার ৪৯৭টাকা তছরুপ হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এছাড়াও এগরা-১ব্লকে ৯৭৪৬টাকা, এগরা-২ব্লকে ৪লক্ষ ৩১হাজার ৬২৮টাকা, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে ৯১হাজার ৫০৭টাকা এবং পটাশপুর-২ব্লকে জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭লক্ষ ৬৫হাজার ৫২৩টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অডিট টিম রিপোর্ট দিয়েছে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় ৬১লক্ষ টাকা অনিয়ম হয়েছে রিপোর্ট দিয়েছে অডিট টিম। সেইমতো টাকা উদ্ধারের জন্য জেলাশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জেলায় জেলায় অডিট হওয়ার পর একশো দিনের কাজে অনিয়মের পরিসংখ্যান সমেত চিঠি আসতেই প্রশাসনের অন্দরে হইচই পড়ে গিয়েছে। মূলত কীভাবে ওই টাকা উদ্ধার করা যাবে, তানিয়েই বৈঠকে বসছেন জেলা প্রশাসনের অফিসাররা। গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে একশো দিনের কাজ হয়। কোনও অনিয়ম হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের। তাছাড়া পঞ্চায়েতে যুক্ত সরকারি কর্মীরাও এর দায় এড়াতে পারেন না। আপাতত প্রশাসন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকে শোকজের চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।

No comments