Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আউটার টার্মিনাল-টু চালু হলে খুলে যাবে হলদিয়া বন্দরের নতুন দিগন্ত -ডেপুটি চেয়ারম্যান

আউটার টার্মিনাল-টু চালু হলে খুলে যাবে হলদিয়া বন্দরের নতুন দিগন্ত -ডেপুটি চেয়ারম্যান

হলদিয়া বন্দরে এলপিজি হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য হুগলি নদীতে ১০০ কোটি ব্যয়ে নতুন জেটি তৈরি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। এলপিজির আমদান…

 


আউটার টার্মিনাল-টু চালু হলে খুলে যাবে হলদিয়া বন্দরের নতুন দিগন্ত -ডেপুটি চেয়ারম্যান



হলদিয়া বন্দরে এলপিজি হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য হুগলি নদীতে ১০০ কোটি ব্যয়ে নতুন জেটি তৈরি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। এলপিজির আমদানি খরচ কমাতে বন্দর এই উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্ব ভারতে দিন দিন রান্নার গ্যাস হিসেবে এলপিজির চাহিদা বাড়ছে। তা আমদানি ও রপ্তানির জন্য হলদিয়া বন্দর ঘিরে শুরু হয়েছে পূর্ব ভারতের এলপিজি হাব গড়ার কাজ। উত্তরপূর্ব ভারতে এলপিজি সরবরাহের পাশাপাশি হলদিয়া থেকে বার্জে করে বাংলাদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে আগামীদিনে এলপিজি হ্যান্ডেলিং বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই তৈরি হচ্ছে নয়া জেটি। বন্দরে এলপিজি আসার পর তা পাইপলাইনে বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য হলদিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার গ্যাস পাইপলাইন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নদীপথে ও রেলপথে এলপিজি পরিবহণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন জেটির নামকরণ

বিজ্ঞাপন


 করা হয়েছে আউটার টার্মিনাল-টু। ১ ও ২ নম্বর অয়েল জেটির মাঝখানে ২৪ মিটার অর্থাৎ প্রায় ৭৫ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট চওড়া এই জেটি তৈরি হচ্ছে। নদীর পাশে প্রায় ১৪ হাজার স্কোয়ারমিটার এলাকাজুড়ে জেটির কাজকর্ম চলবে। ২০১৭সাল নাগাদ পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পায় জেটি। ২০১৮সালে কাজ শুরু হলেও করোনার জন্য প্রকল্প ব্যাহত হয়। হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, আউটার টার্মিনাল তৈরির কাজ শেষের পথে। ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ অর্থাৎ চলতি আর্থিক বছরেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা হবে বছরে প্রায় আড়াই মিলিয়ন টন। ৪০ হাজার টনের জাহাজ এখানে পণ্য ওঠানামা করতে পারবে। নতুন জেটি তৈরি হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, এলপিজি ও পেট্রকেম, মিৎস্যুবিশির জন্য লিক্যুইড কেমিক্যাল হ্যান্ডেলিংয়ে সুবিধা হবে। এখন এক নম্বর ও দু’নম্বর জেটি থেকে এলপিজির সঙ্গে অন্যান্য লিক্যুইড কার্গো হ্যান্ডেলিং হয়। এলপিজি বা পেট্রল-ডিজেলের জাহাজ এলে অন্য জাহাজগুলিকে অপেক্ষা করতে হয়। জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকলে খরচ বেড়ে যায়। এবার আলাদা জেটিতে এলপিজি হ্যান্ডেলিং হলে কেমিক্যাল বা ভোজ্য তেলের জাহাজগুলিকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হবে না। তখন পেট্রকেম বা অন্যান্য সংস্থার কাঁচামালের আমদানি খরচ কমলে তাদের উৎপাদিত পণ্য বা ফিনিস্ড প্রোডাক্টের দাম কমবে। এরফলে শিল্পসংস্থার লাভ যেমন বাড়বে, ক্রেতাও লাভবান হবেন। 


No comments