নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত মামলা কেন হাইকোর্ট থেকে সরাতে চাইছেন? হাইকোর্ট সঠিক বিচার করবে না, এমন ভ্রান্ত ধারণা মোটেই ঠিক নয়। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলার প্রথম দিনের শুনানির পর্যবেক্ষণে এভাবেই আবে…
নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত মামলা কেন হাইকোর্ট থেকে সরাতে চাইছেন? হাইকোর্ট সঠিক বিচার করবে না, এমন ভ্রান্ত ধারণা মোটেই ঠিক নয়। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলার প্রথম দিনের শুনানির পর্যবেক্ষণে এভাবেই আবেনকারীর আইনজীবীকে প্রশ্নের মুখে ফেলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হিমা কোহলি শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানিকে এই প্রশ্ন করেন। জবাবে জেঠমালানি জানান, আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই ব্যাপারে তথ্যও দেব, যা শুনে বিচারপতি জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহ পরে মামলার আবার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে বিজেপির কাছে তাঁর পরাজয়ের পিছনে কারচুপি হয়েছে, এমন অভিযোগ করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। তবে সেই মামলা হাইকোর্টে না শুনে সুপ্রিম কোর্টে শোনা হোক বলেই আবেদন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলাতেও হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে মোদি সরকার। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্র। ডাকা সত্ত্বেও রাজ্যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বৈঠকে আলাপনবাবু উপস্থিত ছিলেন না, বলে অভিযোগ। যার জেরেই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার রাজ্যের এই দায়িত্ববান আমলার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাটে)র পর কলকাতা হাইকোর্টেও এ ব্যাপারে মামলা চলছে।
সেই মামলার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মোদি সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সোমবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের এই মামলা শোনার অধিকার নেই। বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিষয়। চাইলে দিল্লি হাইকোর্ট শুনতে পারে, কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নয়। যদিও তাঁর সওয়ালের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘যে ব্যক্তি তাঁর পুরো কর্মজীবন পশ্চিমবঙ্গে কাটালেন, কলকাতাই যাঁর ঠিকানা, সেখানে কলকাতা হাইকোর্ট মামলাটি শুনলে ক্ষতি কী?’ এই প্রশ্নের কোনও সঠিক জবাব অবশ্য তুষার মেহতা দিতে পারেননি। তাঁর একমাত্র সওয়াল, কলকাতা হাইকোর্টের এক্তিয়ার নেই। তাছাড়া কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকরও বটে। আগামী সোমবার ২২ নভেম্বর মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে।
No comments