গতকাল বিকেল চারটে। টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর কাছে জুবিলী পার্ক লেন এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোডের সংযোগস্থলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন রিজেন্ট পার্ক ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শিবরাম চক্রবর্তী। সার্জেন্ট চক্রবর্তী হঠাৎ লক্ষ করেন এ…
গতকাল বিকেল চারটে। টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর কাছে জুবিলী পার্ক লেন এবং দেশপ্রাণ শাসমল রোডের সংযোগস্থলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন রিজেন্ট পার্ক ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শিবরাম চক্রবর্তী। সার্জেন্ট চক্রবর্তী হঠাৎ লক্ষ করেন একটি ট্যাক্সি রাস্তায় এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যার জন্য অন্য গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারছে না। দ্রুত ট্যাক্সির কাছে উপস্থিত হয়ে শিবরাম দেখেন ট্যাক্সিতে বসে অঝোরে কেঁদে চলেছেন একজন ভদ্রমহিলা। কারণ জানতে চাওয়ায় ভদ্রমহিলা জানান তিনি খড়গপুরের বাসিন্দা,কলকাতা এসেছেন জরুরি কাজে। গন্তব্যস্থানে যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে উঠেছিলেন সরকারি বাসে। আনোয়ার শাহ রোডে বাস থেকে নামার সময় বাসেই তাঁর ব্যাগটি ফেলে এসেছেন তিনি। ব্যাগে ছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকা। সঙ্গে কিছু জরুরি কাগজপত্র। নিজের ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি একটি ট্যাক্সি ধরে বাসের পিছু নিলেও শেষ পর্যন্ত বাসের নাগাল পাননি তিনি। জানান তিনি কিছুটা অসুস্থ বোধ করছেন। বাসের রুট নম্বর জানলেও টিকিট নেই তাঁর কাছে।
সমস্ত কিছু শুনে শুরু হয় ব্যাগ উদ্ধার করার চেষ্টা। মিনিট দশেক আগেই বাসটি সেখান দিয়ে গিয়েছে জেনে পরবর্তী একটি সিগনালে ডিউটিতে থাকা গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিবরাম। সেই অফিসার জানান, কয়েক মুহূর্তে আগেই বাসটিকে সিগনাল পার করতে দেখেছেন তিনি। বাসটি গড়িয়া ডিপোর দিকে যাচ্ছে আন্দাজ করে ডিপোর কাছে ডিউটিরত অফিসারের সঙ্গে এর পর যোগাযোগ করেন শিবরাম। জানান, বাসটিকে থামাতে হবে। সেইমতো থামানো হয় বাস, এবং অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ভদ্রমহিলার ব্যাগ। গড়িয়া ডিপোয় পৌঁছে যান তিনি এবং শিবরাম, ব্যাগ ফেরত যায় মালিকের কাছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাগ উদ্ধার অভিযানে সময় লাগে আধঘণ্টা। খুশিতে আপ্লুত ভদ্রমহিলা কলকাতা পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
No comments