প্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর ঃ কয়েকদিন আগেই জেলা থেকে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এক নেতাকে। তার এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। আবারও এক বিজেপি কর্মীকে প…
প্রদীপ কুমার মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর ঃ কয়েকদিন আগেই জেলা থেকে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এক নেতাকে। তার এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। আবারও এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের ও ভূপতিনগর থানার বাসুদেব বেরিয়া অঞ্চলের ১১৪ নম্বর খাটিয়াল বুথ। মৃতের নাম ভাস্কর বেরা। গত শনিবার তাঁর বাড়িতে কালীপুজো ছিল। সেই কারণে তিনি ঘট উত্তলন করতে বাড়ির বাইরে যান। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথেই তৃণমূলের হার্মাদরা তাঁকে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সুকান্তের সভার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুন বিজেপি কর্মীকে, কাঠগড়ায় ফের শাসকদল
পূর্ব মেদিনীপুর: কয়েকদিন আগেই জেলা থেকে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এক নেতাকে। তার এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। আবারও এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাস্থান বাসুদেব বেরিয়া অঞ্চলের ১১৪ নম্বর খাটিয়াল বুথ। মৃতের নাম ভাস্কর বেরা। গত শনিবার তাঁর বাড়িতে কালীপুজো ছিল। সেই কারণে তিনি ঘট উত্তলন করতে বাড়ির বাইরে যান। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পথেই তৃণমূলের হার্মাদরা তাঁকে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি (বিজেপি) অনুপ কুমার চক্রবর্তী জানান, “ভগবানপুরে তৃণমূল রক্তের রাজনীতি শুরু করেছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নৃশংস ভাবে খুন করেছে। কয়েকদিন আগেই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের পর ফের গতকাল আর এক কর্মীকে শোভাযাত্রা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল। এক মা তাঁর সন্তানকে হারালেন। এর শেষ কোথায়?
অন্যদিকে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতির দাবি, ভাস্কর বেরা একজন মদ্যপ। প্রচুর পরিমাণে মদ খেয়েছিলেন। এই কারণে ওনার বিবাহ বিচ্ছেদও হয়েছে। গতকালও মদ খেয়েছিলেন। খেয়ে খালের ধারে পড়েছিলেন। পড়ে চিকিৎসকরা ওনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি উনি কোনও রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন না। বিজেপি যেখানেই মৃতদেহ দেখছে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে হেঁড়িয়া ও কাঁথিতে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে চলছে বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধ।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে বিজেপি কর্মীরা। চলেছে বিক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয় এক তৃণমূল নেতা। এরপর সেই ঘটনার প্রতিবাদ গতকাল এলাকায় পৌঁছান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার চণ্ডীপুর বিধানসভার ভগবানপুরে নিহত বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি (শম্ভু)র স্মরণ সভা থেকে একযোগে পুলিশ ও রাজ্যকে নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, ‘একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরও এখন যদি পুলিশ ও গুণ্ডাদের সরিয়ে নেওয়া হয় ওরা পার্টি অফিস খোলার লোক পাবে না।’
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তোপের মুখে কখনও পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে, কখনও নিশানা ছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, নীচু তলার পুলিশ কর্মীরা নিরপেক্ষ থাকতে চান। কিন্তু তাঁদের শীর্ষ কর্তারা জোর করে অন্য পথে তাঁদের চলতে বাধ্য করেন
No comments