Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন হল

হলদিয়ায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন হল। রাজ্যের চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মেগা প্রজেক্ট চালুর ফলে হলদিয়া ও মহিষাদল বিধানসভা এলাকায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। উপকৃত হবে হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্পসংস্থাও। এদি…

 




 হলদিয়ায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন হল। রাজ্যের চার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মেগা প্রজেক্ট চালুর ফলে হলদিয়া ও মহিষাদল বিধানসভা এলাকায় দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। উপকৃত হবে হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্পসংস্থাও। এদিন হলদিয়ার ভবানীপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুধু হলদিয়া কিংবা তমলুক নয়, গোটা বাংলায় ঘরে ঘরে পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে এবং দেশের মধ্যে বাংলা এনিয়ে এক নম্বর স্থানে রয়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে ফিরহাদ ছাড়াও সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পুলিস সুপার অমরনাথ কে সহ সরকারি আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চৈতন্যপুর পাম্পিং স্টেশন থেকে ব্রজলালচক পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার এলাকা এবং ব্রজলালচক পাম্পিং স্টেশন থেকে হাতিবেড়্যা পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই পানীয় জল প্রকল্প চালু হল। দু’টি ক্ষেত্রে ১২ কোটি করে মোট ২৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর অর্থ সরবরাহ করেছে। হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা ওই কাজ রূপায়ণ করেছে। এর ফলে মোট দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। 

নগরায়ন এবং শিল্পাঞ্চলে নতুন উদ্যোগপতিদের আগমনের কারণে পরিস্রুত পানীয় জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ২৪ কোটি টাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ হল। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পে গোটা রাজ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা জেলাজুড়ে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিন এইচডিএ-র সিইও পানিক্কর হরিশঙ্কর বলেন, ২৪ কোটি টাকা খরচে এইচডিএ এই স্কিম রূপায়ণ করেছে। এর ফলে মোট দেড় লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

এদিন সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, আমি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের থাকাকালীন জলস্বপ্ন প্রকল্পের শুভ সূচনা হয়েছিল। গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অঙ্গীকার করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার আমাদের বঞ্চনা করেছে। তারা জলপ্রকল্পে আমাদের সেভাবে সহযোগিতা করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ার নিরিখে বাংলা প্রথম। প্রতিকূলতার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী অর্থের সংস্থান করেছেন।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, গোটা বাংলায় জলপ্রকল্পের কাজ প্রশংসা করার মতো। এটা গর্ব করার মতো বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী গোটা বাংলার উন্নয়ন করছেন। আমরা বাংলায় যে সুফল পাচ্ছি, দেশের মানুষ সেটা পাবেন না কেন? বাংলার কোনও মানুষ দেশের নেতৃত্বে দিলে সেটা খুব ভালো লাগে। সুভাষচন্দ্র বসুর পর আমরা সেই আনন্দ পাই। এবার হয়তো ঠাকুর মুখ তুলে তাকাবেন। আমরা দেখব, বাংলা ভারতকে পথ দেখাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত সেই পথ নতুন ভারত গড়বে। সেখানে কোনও হিংসা থাকবে না। থাকবে না কোনও সাম্প্রদায়িকতা। তখন আমরা সবাই ভালো থাকব।

এদিন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল অনুষ্ঠানের শেষলগ্নে কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শহরবাসীর কাছে জল অপচয় না করার আবেদন জানান। তিনি বলেন, পানীয় জলের জন্য প্রতি মাসে পুরসভাকে ২৪ লক্ষ টাকা দিতে হয়। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, জলের অপচয় করবেন না।

No comments