Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ডেপুটেশন দেওয়ার নামে শুক্রবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক কৃষিদপ্তরের তান্ডব?

ডেপুটেশন দেওয়ার নামে শুক্রবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক কৃষিদপ্তরের এক্সটেনশন অফিসারের উপর বর্বরোচিত হামলা চালাল বিজেপি। সেই ঘটনায় মেঘনাদ পাল, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল মাইতি সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিপুর …

 




ডেপুটেশন দেওয়ার নামে শুক্রবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক কৃষিদপ্তরের এক্সটেনশন অফিসারের উপর বর্বরোচিত হামলা চালাল বিজেপি। সেই ঘটনায় মেঘনাদ পাল, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল মাইতি সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিপুর কিষান মান্ডিতে অবস্থিত ব্লক কৃষিদপ্তরের অফিসে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল হরিপুর অঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কৃষিদপ্তর রবিচাষের জন্য জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের অধীন ডালশস্য ও তৈলবীজ সরবরাহ করলেও বঞ্চিত হয়েছে হরিপুর। সেই কারণেই এদিন ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। পুলিস সুপার অমরনাথ কে বলেন, অফিসারকে মারধরের ঘটনায় মেঘনাদ পাল, সুনীল মাইতি সহ মোট ছ’জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। 

এদিন হরিপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে দলবদলু বিজেপির লোকজন ওই ডেপুটেশনে অংশ নেন। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন মেঘনাদবাবু, সুনীলবাবুরা। কৃষিদপ্তরের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় আচমকা অফিস চত্বর এলাকায় এগ্রিকালচার এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলের উপর হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। তাঁর জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে কিল, চড়, ঘুসি মারা হয়। আচমকা আক্রমণের মুখে পড়ে হতচকিত হয়ে যান ওই অফিসার। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, ক্ষিপ্ত বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি প্রাণভিক্ষা করেন। সভামঞ্চ থেকে কর্মীদের শান্ত হওয়ার কথা বলা হলেও কেউ সে কথায় কর্ণপাত করেনি।

এদিন বিদ্যুৎবরণবাবু বাড়িতে চশমা ফেলে অফিসে চলে এসেছিলেন। পরিবারের এক সদস্য সেই চশমা নিয়ে এসে অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিদ্যুৎবাবু চশমা নেওয়ার জন্য অফিসের বাইরে বের হতেই দলবদলু বিজেপিরা ভাবে, ডেপুটেশন নিতে হবে বলে তিনি অফিস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। স্রেফ সন্দেহের বশে তাঁর উপর বিজেপি কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন।  অফিসারের উপর হামলার কথা জানাজানি হতেই প্রশাসনিক মহলে হইচই পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে যান নন্দীগ্রাম-১ বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত এবং আইসি তুহিন বিশ্বাস। বেলা ২টো থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক চলে। ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা দীপাঞ্জনা রায়ও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগেই পুলিস ছ’জনকে পাকড়াও করে।  বিজেপি নেতা মেঘনাদবাবু বলেন, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কৃষিদপ্তর ডালশস্য ও তৈলবীজ সরবরাহ করেছে। বাদ গিয়েছে শুধু হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী রাতের বেলায় বিলি করছে। এনিয়ে সাতদিন আগে আমরা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তাকে জানিয়েছিলাম। তাতে কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ বিডিও অফিস এবং থানায় জানিয়ে শুক্রবার কৃষিদপ্তরের অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে একটি ঘটনা ঘটে যায়।  নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, ডেপুটেশনের নামে বিজেপির লোকজন গিয়ে একজন অফিসারের উপর হামলা চালিয়েছে। ওনারা অফিসারের গায়ে হাত তোলার অধিকার কোথা থেকে পেলেন?  এগ্রিকালচার এক্সটেনশন অফিসার বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলের উপর হামলা চালাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

No comments