রেশন গ্রাহকরা এখন থেকে রাজ্যের যেকোনও ডিলারদের কাছ থেকে তাঁর বরাদ্দ খাদ্যশস্য নিতে পারবেন। আধার নম্বর নথিভুক্ত গ্রাহকরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সঙ্গে এই নতুন ব্যবস্থার …
রেশন গ্রাহকরা এখন থেকে রাজ্যের যেকোনও ডিলারদের কাছ থেকে তাঁর বরাদ্দ খাদ্যশস্য নিতে পারবেন। আধার নম্বর নথিভুক্ত গ্রাহকরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সঙ্গে এই নতুন ব্যবস্থার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে মুর্শিদাবাদের এক গ্রাহক ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর কার্ড ব্যবহার করে খাদ্য সংগ্রহ করেন। জাতীয় খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্গত রাজ্যের গ্রাহকরা ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থার আওতায় এসেছেন। এতে দেশের যেকোনও রাজ্যে গিয়ে সেখানকার রেশন দোকান থেকে তিনি খাদ্য নিতে পারেন। তেমনি ভিন রাজ্যের গ্রাহকরাও পশ্চিমবঙ্গের ডিলারদের কাছ থেকে খাদ্যশস্য পাবেন। সেক্ষেত্রেও আধার সংযুক্তি জরুরি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও দুটি প্রকল্পের সূচনা করেন। খাদ্যদপ্তর হোয়াটসঅ্যাপ ‘চ্যাটব্যাট’ চালু করেছে। এটির নম্বর হল—৯৯০৩০৫৫৫০৫। এর মাধ্যমে খাদ্যদপ্তর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মিলবে। খাদ্যসাথী-আমার রেশন মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে খাদ্যদপ্তরের বিভিন্ন কাজ অনলাইনে করা যাবে।
সুসজ্জিত মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সদ্য কাটা ধানের গোছ তুলে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী একটি ধানের গোছ গ্রামের বাড়ির মডেলে বেঁধে দেন। একটি ধানের গোছ নবান্নে রাখা হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রেশন ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য এখন থেকে ১ লক্ষ টাকার বদলে ৫০ হাজার টাকা পুঁজি থাকলেই চলবে। আগে ডিলারশিপ পেতে ৫ লক্ষ টাকা লাগত। সেটা কমিয়ে আগেই ১ লক্ষ করা হয়। শহর এলাকায় নতুন রেশন দোকান করার জন্য শপ ও গুদামের আয়তন ছোট করা হবে। মহিলাদের ডিলারশিপ দেওয়ার উপর জোর দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আধার সংযুক্তির জন্য ডিলারদের গ্রাহকপিছু আড়াই টাকা করে দেওয়া হয়েছে। গ্যালারিতে উপবিষ্ট ডিলারদের একাংশ এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, তাঁরা টাকা পাননি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে চিৎকার করে কিছু হয় না। আমি খোঁজ নিয়েই বলছি।’ খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে বলেন, ‘বিল জমা দিলেই টাকা পেয়ে যাবেন।’ অনুষ্ঠান শেষে স্টেডিয়াম গেটে কিছু ডিলার দুয়ারে রেশন-সহ নানা বিষয়ে সামান্য বিক্ষোভ দেখান।
No comments