Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভালোবাসার জেরে কি মর্মান্তিক আত্মহত্যা?

ভালোবাসার জেরে কি মর্মান্তিক আত্মহত্যা? 

তপন কুমার জানা ,মহিষাদল ঃঃমহিষাদলল রাজ কলেজর বাংলা বিভাগের সেকেন্ড সেমিস্টারের পাঠরত ছাত্রী হৈমন্তী সামন্ত  নিজের বাড়িতে সিলিং ফ্যানে ওড়না বেঁধে  গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল।  23 নভে…

 


ভালোবাসার জেরে কি মর্মান্তিক আত্মহত্যা? 



তপন কুমার জানা ,মহিষাদল ঃঃমহিষাদলল রাজ কলেজর বাংলা বিভাগের সেকেন্ড সেমিস্টারের পাঠরত ছাত্রী হৈমন্তী সামন্ত  নিজের বাড়িতে সিলিং ফ্যানে ওড়না বেঁধে  গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল।  23 নভেম্বর 2021 , বেলা 2:30 মিনিটে নিজের রুমে সিলিং ফ্যানে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্যা দিপালী গোস্বামী । হৈমন্তী সামন্ত--এর বাড়ি লক্ষা 2 নংগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালিকা কুন্ডু গ্রামে ঘনালাট পল্লীতে । হৈমন্তীর চারজন বোন, একজন ভাই পাঁচ বছরের। বাবা কুশধ্বজ সামন্ত হলদিয়ার একটি কারখানায় অস্থায়ীভাবে কাজ করেন। হৈমন্তী দের বাড়ির অবস্থা একেবারেই রুগ্ন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বাংলার আবাস যোজনার বাড়িতে সবেমাত্র গৃহপ্রবেশ হয়েছে । আর সেই বাড়ির সিলিং ফ্যানে নিজের ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল ভালোবাসার প্রত্যাখ্যানে। বলে এমনটাই দাবি করেছেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা দিপালী সামন্ত। হৈমন্তী বাবা-মায়ের তৃতীয় কন্যা । মা ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন ,হঠাৎ এসে দেখেন হৈমন্তী তার নিজের রুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পায়ের তলায় একটি চেয়ার উল্টিয়ে পড়ে রয়েছে। আর তার ব্যবহার করে মোবাইলটি পায়ের তলার নিচে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। হৈমন্তীর মা জয়ন্তি সামন্তের কান্নার চিৎকার শুনে বাড়ির আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন হৈমন্তী দের বাড়িতে।  উপস্থিত পাড়াপড়শি রা হৈমন্তীর ঝুলন্ত দেহ কে নামিয়ে মহিষাদল বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকগণ মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহিষাদল থানার অন্তর্গত মধ্য হিংলি গ্রামের একটি ছেলেকে হৈমন্তী ভালবাসতেন । বলে এমনটাই একটা অভিযোগ করেছেন মহিষাদল থানার হৈমন্তী পরিবারের লোকজন। আর ভালোবাসার জেরে হৈমন্তীর এই আত্মহত্যা । হৈমন্তীর মোবাইল চেক করে দেখা গিয়েছে একটি নম্বর বারেবারেই ফোন করেছে হৈমন্তীকে। সেই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন হৈমন্তীর পরিবারের সদস্য । বলে জানিয়েছেন এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত  সদস্যা র স্বামী সুব্রত গোস্বামী । তিনি আর ওজানান , তার বাড়ি থেকে মৃতদেহটিকে নিয়ে তিনি মহিষাদল বাসুলিয়া হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারপর থানায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলেন। মহিষাদল পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর তদন্ত শুরু করেছেন। পোস্টমাডাম এর জন্য মৃত দেহটিকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

No comments