ভগবানপুরে মৃত বিজেপি কার্যকর্তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন
ভাইফোঁটার রাতে খুন হয়েছিল ভগবানপুরের বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ চন্দন মাইতি (শম্ভু) । তাঁরপর থেকে বি…
ভগবানপুরে মৃত বিজেপি কার্যকর্তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন
ভাইফোঁটার রাতে খুন হয়েছিল ভগবানপুরের বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের প্রমুখ চন্দন মাইতি (শম্ভু) । তাঁরপর থেকে বিজেপির বিক্ষোভ চলতে থাকে।
মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শনিবার স্মরণ সভা মঞ্চে উপস্থিত হয় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি নবারুন নায়েক, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ একাধিক নেতৃত্ব। ভগবানপুরে বিজেপির চন্দন মাইতি (শম্ভু )খুনের পর শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের কোটনাউড়ি থেকে দেঁড়েদিঘী পর্যন্ত বাইক মিছিলের মধ্য দিয়ে মৃত বিজেপি কর্মীর স্মরণ সভা মঞ্চে গেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাস দেন, এবং ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তাঁর পাশাপাশি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন যাঁরা খুন করেছে প্রত্যেকেই গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে, পুলিশ যদি না পারে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা ভাবছেন আমরা ক্ষমতায় আছি কে কি করবে আমাদের, তাঁদের মনে করিয়ে দিচ্ছি চিরকাল সবার সমান নাহি যায়। ক্ষমতার দ্বম্ভে যদি বিরোধীদের মেরে ফেলবেন ভাবছেন তবে আপনারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আপনার দিকেও সেই তীর একদিন ধেয়ে আসবে। এই চোখের জলের পাপ একদিন তৃণমূলকংগ্রেস কে ডুবিয়ে মারবে সেই দিন আর বেশি বাকি নেই। এবং পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে চন্দন মাইতি খুনের আসামীদের দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে গ্রেপ্তার করার কথা জানান। পুলিশ যদিও ছেড়ে দেয় বাকি ৩৫ জনকে সিবিআই তদন্ত করিয়ে জেলে পাঠানোর দায়িত্ব আমাদের।
চন্দন মাইতি খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার থেকে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁর মধ্যে ভগবানপুরের মহম্মদপুর এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তাপস দলপতিকে চন্দ্রকোনার এক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাকিজন এখনও অধরা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গতঃ মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে কেলেঘাই নদী, একদিকে ভগবানপুরের মহম্মদপুর এলাকা, আবার নদীর ওপারে ময়নার বাকচা। পরিসংখ্যান বলছে, ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর, দেঁড়েদিঘী, গোয়ালাপুকুর, সহ ওই সমস্ত এলাকায় যাবতীয় অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত কিন্তু সেই ময়নার বাকচা এলাকার দুষ্কৃতিরা এমনই অভিযোগ বিজেপির। ওই একই দেঁড়েদিঘী এলাকায় সাড়ে তিন বছর আগে ততকালীন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান খুন হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ততকালীন ময়নার বাকচা এলাকায় বরুনা গ্রামে দাপুটে তৃণমূল নেতা বাসুদেব মন্ডলকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
No comments