Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু

দুই মেদিনীপুরে করোনায় মৃতদেরপরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু

 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হল। বৃহস্পতিবার রামনগর-১ ব্লকের তালগাছারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৃত দুই ব্যক্তির স্ত্রী সবিতা পাত্র ও শ…

 




দুই মেদিনীপুরে করোনায় মৃতদেরপরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু



 পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হল। বৃহস্পতিবার রামনগর-১ ব্লকের তালগাছারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৃত দুই ব্যক্তির স্ত্রী সবিতা পাত্র ও শরিফা বেগমের অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর করোনায় মৃত মোট ৮৮৪ জনের নামের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছে। তারমধ্যে তমলুক সিএমওএইচ অফিস থেকে মৃত ৬৩৭ জন এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা থেকে আরও ২৪৭ জনের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। ধাপে ধাপে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে এসডিআরএফ গ্র্যান্ট বাবদ ৫০হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জেলার সবক’টি ব্লক ও মহকুমা শাসকের অফিসে এনিয়ে আবেদন করা যাচ্ছে। এরপরই জেলা থেকে মৃতের পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিনে পূর্ব মেদিনীপুরে করোনায় মৃত হিসেবে ৪০০ জনের উল্লেখ রয়েছে। এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার। কিন্তু, তমলুক এবং নন্দীগ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসারদের কাছে মৃতের সংখ্যা ৮৮৪ জন। ফলে, মৃতের সংখ্যা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতদের অনেকের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিডের উল্লেখ থাকলেও সিএমওএইচ অফিসের রেজিস্ট্রারে তাঁদের নাম নেই। চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনায় মৃতদের বেশিরভাগের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিডের উল্লেখ নেই। যদিও তাঁদের নাম সিএমওএইচ অফিসের খাতায় নথিভুক্ত। এই অবস্থায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসনিক মহল।

জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে মৃত ৮৮৪ জনের নামের তালিকা জেলাশাসকের অফিসে জমা পড়ার পর সেই তালিকা সংশ্লিষ্ট ব্লক ও মহকুমা শাসকের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রামনগর-১ ব্লকের তালগাছারি-১গ্রাম পঞ্চায়েতে কোভিডে মারা যাওয়া তিনজনের নামের তালিকা পৌঁছেছে। তার মধ্যে বাড় সোলেমানপুর গ্রামে মৃত দেবাশিস পাত্র এবং তালগাছারি গ্রামের মৃত শফিউর রহমানের স্ত্রী-র অ্যাকাউন্টে এদিন ৫০ হাজার করে মোট এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

রাগনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নিতাই সার বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হলেও ডেথ সার্টিফিকেটে কোভিড উল্লেখ করা হয়নি। এরকম অনেক ঘটনা আছে। তালগাছারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃত তিনজনের নামের তালিকা জেলা থেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও এখানে আরও বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে এনিয়ে সিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।

নিহতদের পরিবারের লোকজন এনিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে। তমলুক ডিএম অফিসে এই সেল খোলা হয়েছে। কোভিডে মৃত্যু সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হলে অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে। আপাতত স্বাস্থ্যদপ্তরের খাতায় নথিভুক্ত মৃত ৮৮৪ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ৪ কোটি ৪২ লক্ষ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই করোনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথমদিন রামনগর-১ ব্লক এলাকায় মৃত দু’জনের স্ত্রীকে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা দুই সিএমওএইচ অফিস থেকে মোট ৮৮৪ জনের নামের তালিকা পেয়েছি।এদিকে রাজ্য সরকার ঘোষিত আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর, খড়্গপুর, দাঁতন সহ বিভিন্ন এলাকার এরকম ন’জনের পরিবারকে অনুদান দেওয়া হয়। তাঁদের এদিন জেলা কালেক্টরেটে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৫০  হাজার টাকা করে চলে যাবে। এরপর একে একে সবাইকে টাকা দেওয়া হবে। সিএমওএইচ ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, আমাদের জেলায় ৭৭৬  জন মারা গিয়েছেন।  এদিকে জেলায় দৈনিক সংক্রমণের হার আরও কমে গেল। মঙ্গলবার পজিটিভের হার ছিল ০০.৩৮ শতাংশ। ১৫৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছ’ জনের রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার তা কমে হয়েছে ০০.২৫ শতাংশ। ১৫৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া যায়। কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বেড়েছে সুস্থতার হারও। মঙ্গলবার ছিল ৯৮.০২ শতাংশ। ওই দিন সুস্থ হয়েছেন ছ’জন। বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ৯৮.০৩ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বুধবার পর্যন্ত জেলায় করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৪৩ হাজার ২০১। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছ’জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৭৩ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৯। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। জেলায় পজিটিভের হার ০০.২৫ শতাংশ, সুস্থতার হার ৯৮.০৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ০১.৭৯ শতাংশ।

No comments